১৯৫০ সালে এই ব্যারেজ তৈরি হয়। আপাতত কাজের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ২১ কোটি আনুমানিক। বৃষ্টি থামলে কাজ শুরু হবে পুরোপুরি। আপাতত ট্রাফিক ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিন্তু জল ছাড়তেই হবে, তবে নিয়ন্ত্রণ করে ছাড়া হবে জল। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগে রক্ষার্থে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয় তিলপাড়া ব্যারেজ। ব্যারেজে ফাটল দেখা যাওয়ায় পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার বন্ধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। বাস চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। শুধু মোটর বাইক আর অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: অপারেশন সিঁদুরে কতগুলি পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে ভারত? এতদিনে মুখ খুললেন বায়ুসেনা প্রধান
রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস ভুইয়া জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে প্রথম নজরে আসে এই সমস্যা। এরপর সেচ দফতর আধিকারিকরা সংষ্কারের কাজে উদ্যোগী হন। এটি হবার কথা ছিল বিশ্ব ব্যাংক ও রাজ্যের যৌথ সহযোগিতায়। কিন্তু কেন্দ্র অনুমতি না দেওয়ায় রাজ্য সেই কাজ শুরু করতে পারেনি। পরবর্তী সময়ে ফের আবেদন করা হয়। CWC ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিরা পরিদর্শন করেন। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় রাজ্য নিজেই কাজ করবে। সেই কাজ শুরু হয়। লক্ষ্য ছিল দ্রুত কাজ শেষ করা হবে। কিন্তু প্রবল বৃষ্টির কারণে তা শেষ করা গেল না। এর মধ্যেই বিপত্তি।
আরও পড়ুন: মিছিলে গিয়ে পুলিশের মারের অভিযোগ, হাসপাতালে ভর্তি আরজি করের নির্যাতিতার মা! দেখতে গেলেন শুভেন্দু
সেচ দফতরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, এরপর যোগাযোগ করা হয় আই.আই.টি রুরকির সঙ্গে। তাদের তরফে অধ্যাপক জেড আহমেদ নিজে আসেন। ব্যারেজ পরিদর্শন করেন। তার নির্দেশ মতোই কাজ এগোচ্ছে। এরই মধ্যে আজ বিকেলেই সিউড়ি আসছেন CWC ডিরেক্টর। আগামীকাল তিনিও ব্যারেজ পরিদর্শন করবেন। রাজ্য আশাবাদী শীঘ্রই এই কাজ শেষ করা যাবে। ম্যাকিনটোশ বার্ণ লিমিটেড এই কাজ করবে।