জিনাতকে বন দফতরের কর্মীরা বিষ্ণুপুর নিয়ে এসেছেন। এস কুণাল ডাইভাল, সিসিএফ, সেন্ট্রাল সার্কেল বলেন, ‘জিনাত সুস্থ রয়েছে, ১৩৫ কিলোগ্রাম ওজন, আলিপুর নিয়ে যাওয়া হবে। কিছুদিন নজরদারিতে রাখা হবে। গতকাল ৩ বার ট্রানকুলাইজ করা হয়েছিল, ঠিক মতো প্রবেশ করেনি। আজ ঠিক ভাবে ট্রানকুলাইজ করা হয়েছে। পুরো টিম ঠিক করে কাজ করেছে।’ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন দফতরের অসাধ্যসাধনকে কুর্নিশ জানিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: সকালে খালি পেটে উষ্ণ জলে লেবুর রস-মধু খেলে ওজন কমে? সত্যিই? ডাক্তারের মতামত জানলে মাথা ঘুরে যাবে!
শনিবার সকাল পুরুলিয়া থেকে বাঁকুড়ার রানিবাঁধের গোঁসাইডিহি গ্রাম সংলগ্ন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছিল জিনাত। এই খবর পাওয়ার পরই তৎপর হয় বনদফতর। ঘুমপাড়ানি গুলি নিয়ে বাঘিনীকে কাবু করার চেষ্টা করে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। শনিবার রাতের দিকেও জিনাতকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোঁড়ে। রাত ৯টা নাগাদ বিষ্ণুপুর পাঞ্চেত বন বিভাগে জিনাতের শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন পশু চিকিৎসক। তার শারীরিক অবস্থা ভাল থাকায় জিনাতকে নিয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বন দফতরের আধিকারিকরা।
কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। জঙ্গলেই লুকিয়ে ছিল জিনাত। তারপর গোটা জঙ্গল ঘিরে ফেলে আগুন লাগিয়ে বাঘিনী ধরার চেষ্টা করে বন দফতর। কিন্তু সেই চেষ্টাও ব্যর্থ হয়। শেষপর্যন্ত রবিবার বিকালে বন দফতরের ঘুমপাড়ানির গুলিতে কাবু হয় জিনাত। গত ১৫ নভেম্বর মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে তিন বছরের জ়িনতকে ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পে । কয়েক দিন পরেই রেডিও কলার পরিয়ে ২৪ নভেম্বর সিমলিপাল ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে ছাড়া হয়েছিল জিনাতকে। কিন্তু ওড়িশা থেকে ঝাঁড়খণ্ডের দিকে হাঁটা দেয় জিনাত।
রঞ্জিত সরকার
