সরস্বতী নদী থেকে উৎপত্তি হয়ে সাঁকরাইল এর ঝোরহাট,বানিপুর ১ এবং বানিপুর দুই গ্রাম পঞ্চায়েত হয়ে হুগলি নদীতে মিশেছে বুড়িখাল। বর্তমানে শিল্প ও বাণিজ্যিক বর্জ্য, কৃষি রাসায়নিক এবং অন্যান্য দূষণকারী পদার্থ খালের জলে মিশে দূষণ ঘটাচ্ছে, যা জলজ জীবনকে প্রভাবিত করছে । খালের পাড়ে অবৈধভাবে দখল করে বাঁধ তৈরি করা হচ্ছে, যা খালের স্বাভাবিক জলপ্রবাহকে বাধা দিচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ফুটবল খেলতে গিয়ে চলে গেল প্রাণ! ৯ বছরের ছেলের মাথায় ভেঙে পড়ল গোল পোস্ট! মর্মান্তিক ঘটনা
লুট হয়ে যাচ্ছে খাল,নিকাশি অবরুদ্ধ হয়ে সমস্যায় কয়েক হাজার পরিবার। সমস্যা দীর্ঘ প্রায় ১৫-২০ বছর, আমফানের সময় থেকে এই খাল নোংরার মাত্র আরও বেশি হয়েছে। ১০০দিনের কাজ বন্ধ, পরিষ্কারের অভাবে আরও নোংরা হয়ে আছে বুড়িখাল বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।
আরও পড়ুন: ৫১ বছরের অপেক্ষা শেষ, অভিষেকের উদ্যোগে অবশেষে মহেশতলার মানুষের মুখে চওড়া হাসি
খাল পরিষ্কার করে নিকাশি বহাল রাখার দাবিতে একাধিক সংগঠন ঐক্যবদ্ধ হয়ে বিভিন্ন দফতরে আবেদন জানাচ্ছে।দোকান ও বাড়ির আবর্জনা স্তূপাকার হয়ে জমছে নালার গর্ভে। মজে যাওয়া নালা থেকে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধও। প্রশাসনের তরফ থেকে এই খাল পরিষ্কারের চেষ্টা চলছে বলে জানালেন বানীপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জানান। এই সমস্যাগুলো সমাধান না করা হলে বুড়িখালি খাল সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে। তাই খালের জল দূষণ রোধ করা, অতিরিক্ত জল ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা, দখল ও বাঁধ নির্মাণ বন্ধ করা জরুরি বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন |