আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে শিলাবৃষ্টি, বইবে ঝোড়ো হাওয়া! কিছুক্ষণেই তাণ্ডব শুরু হবে দক্ষিণের এক জেলায়
শুধু ধর্মীয় বিষয় তা নয় এর সঙ্গে বিশেষ ধরনের ছোট মন্ডপ নির্মাণ অর্থাৎ স্থানীয় নাম হাওদা, প্রতিমার বিভিন্ন সাজসজ্জা এমন কি কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিমা ও বানিয়ে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়ে থাকে সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা। বংশপরম্পরায় তারা কেউই মৃৎশিল্পী ঘরের নয় কিন্তু শিল্প উৎকর্ষতা দেখে চমক লাগে।
advertisement
আরও পড়ুন: মঙ্গলে বিকেল গড়ালেই কলকাতা-সহ জেলায় কালবৈশাখীর তাণ্ডব? দিনভর কতটা চড়বে তাপমাত্রা? জানুন
তবে অমৃত বাবুর কথায় তার ছোটবেলা থেকে এ বিষয়ে আগ্রহ থাকলেও শান্তিপুর স্টেশন সংলগ্ন মোবাইল দোকান চালাতেন কিন্তু কর্নার পরবর্তী সময়ে রিচার্জ কমে যাওয়ার স্বল্প রোজগার তাকে এই পথে পুনরায় চালিত করেছে। মোটা কাগজ কেটে তার ওপর থার্মোকল বসিয়ে মহিলাদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া ছোট ছোট খণ্ডাংশ জুড়ে অসাধারণ প্রতিমার মুকুট এবং সজ্জা নির্মাণ করেন তিনি। বিভিন্ন সাইজের রংবেরঙের ছোট পাথর জড়ি চুমকি লেস সংগ্রহ করতে হয় কৃষ্ণনগর কিংবা কলকাতার বাজার থেকে বিশেষ ধরনের আঠা প্রস্তুত করে তা দিয়ে নিজের মস্তিষ্কপ্রসূত অথবা উদ্যোক্তাদের দেখানো হুবহু করে দিতে পারেন তিনি। তবে এ বিষয়ে যদি সরকারি সহযোগিতা পান তাহলে ৬ জন মহিলার কর্মসংস্থানের সংখ্যাটা গিয়ে হয়তো ঠেকবে অনেক দূরে। তবে এই পেশা অনেকটাই আগ্রহের বিষয়বস্তু অন্যান্য কাজের মতন অদক্ষ শ্রমিক নিয়োগ করা সম্ভব হয় না শিল্প সম্পর্কে ধৈর্য, সাম্যক ধারণা এবং আগ্রহ দরকার তাই অমৃত বাবুর সফলতার স্বাদ বেকার যুবতীদের কাছে পৌঁছাতে হয়তো একটু দেরি লাগবে।
Mainak Debnath