বর্ধমানের আউশগ্রামে রয়েছে এক গভীর জঙ্গল। তারই এক অংশে এই ভালকিমাচন। এখানে রয়েছে শাল-পিয়ালের জঙ্গল। তার মধ্যেই মধ্যে রয়েছে রাজ আমলের উঁচু পুরোনো স্তম্ভ। তা মাচান নামে পরিচিত। মাচানের অদূরে রয়েছে ছোট একটি জলাশয়। এই জলাশয়ে জল খেতে আসা বন্য পশুদের শিকার করার জন্য অতীতে মাচানগুলি তৈরি করা হয়েছিল। একসময় প্রচুর ভাল্লুক ছিল এই জঙ্গলে। দলমা থেকে বনপথ ধরে নেমে আসে হাতির পাল। এখনও প্রচুর বনবিড়াল, শিয়াল, বুনো শুয়োর রয়েছে এই জঙ্গলে। আর আছে নানা প্রজাতির পাখি, প্রচুর প্রজাপতি।
advertisement
ভালকিমাচানে যাওয়ার মেঠো পথ ছবির মতো। চারপাশে প্রকৃতির বাহার দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। জঙ্গলের মধ্যে নিরিবিলিতে কাটান বেশ কিছুক্ষণ। চাঁদনী রাতে জঙ্গলে এক মায়াময় পরিবেশ তৈরি হয়। সকালে বা বিকেলে ভালকিমাচান জঙ্গল থেকে বেড়িয়ে আসুন। ভালকিমাচান জঙ্গলের কাছেই রয়েছে রাজ্য মৎস্য বিভাগের যমুনাদিঘি মৎস্য প্রকল্প। রয়েছে গাছগাছালিতে ঘেরা বড় বড় জলাশয়। মাছের চাষ হয় এই জলাশয়গুলিতে। জলাশয়ের উপরে রয়েছে ফ্লোটেল। সেখানে চা, কফি বা ঠান্ডা পানীয় নিয়ে নিরালায় সময় কাটানো যায়। ঘুরে বেড়ানো যায় জলাশয়ের ধারে ধারে। সকালে জলাশয়ে মাছধরা দেখা যায়। খালপথে বোটিং করা যায়। চাইলে মাছ ধরাও যায়। কমপ্লেক্সের মধ্যেই রয়েছে চিলড্রেনস পার্ক, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। আহারে পাবেন সদ্য ধরা মাছের টাটকা পদ। ভাল লাগবে।
আরও পড়ুন- চাপ বাড়াচ্ছে তৃণমূল! সংসদে এই বিষয় নিয়ে সরব দলের একের পর এক সাংসদ
ট্রেনে গেলে নামতে হবে বর্ধমানের মানকড় বা গুসকরা স্টেশনে। হাওড়া বা শিয়ালদহ স্টেশন থেকে সময় লাগবে আড়াই ঘন্টা। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধরে সড়কপথে কলকাতা থেকে ভালকিমাচানের দূরত্ব ১৫৫ কিলোমিটার। দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে , পরাজ রেলস্টেশন, অভিরামপুর হয়ে গুসকরা। কলকাতা থেকে সড়কপথে ভালকিমাচান পৌঁছাতে সময় লাগবে তিন ঘন্টা। হাওড়া থেকে ট্রেনে গুসকরা বা মানকড় স্টেশনে নেমে ভালকিমাচান যাওয়া যেতে পারে।
