এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ ১৮ বাংলা। অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ থেকে শুরু করে ইউনিয়ন রুমে ছাত্রীর বিয়ে এবং ইউনিয়ন রুমে দুই বহিরাগতের মেসেজের ভাইরাল ভিডিও ঘিরে একাধিক বিতর্কে নাম জড়িয়েছিল কাকদ্বীপের সুন্দরবন মহাবিদ্যালয়ের। এবার সিনেমার কায়দায় প্রেম নিবেদনের ভাইরাল ভিডিও নিয়ে নতুন করে আবারও বিতর্ক দেখা দিল।
advertisement
ঘটনার প্রতিবাদে নিন্দা ও ধিক্কার জানিয়ে সরব হয়েছে এবিভিপি ও ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব। এসএফআইয়ের প্রাক্তন সদস্য তথা ডিওয়াইএফআই নেতা স্বপ্নময় সাহা বলেন, ‘কাকদ্বীপ কলেজের ভেতরে ছাত্রীকে প্রেম নিবেদনের যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে পড়েছে, সেটা সিনেমার দৃশ্যকেও হার মানাবে। বাইক স্টান্ট করে যেভাবে প্রেম নিবেদনের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে দেখছি, এগুলো শিক্ষার জায়গাতে ঘটানো কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। কলেজের ছাত্র ইউনিটের দায়িত্বে এখন শাসকদলের ছাত্র নেতারাই। তারা কখনও এই ঘটনার দায় এড়াতে পারবে না। বাংলা থেকে তো শিক্ষাটাই হারিয়ে গিয়েছে। ফলে কলেজে তো এমন বেলাল্লাপনা হওয়াটাই তো স্বাভাবিক। বর্তমানে কাকদ্বীপ কলেজে সাধারণ ছাত্র ছাত্রীরা নিজেদের দাবি-দাওয়ার কথা বলতে পারেন না। শিক্ষার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা এক জোট হয়ে প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে না তুললে এই পরিবেশ আর কখনওই পরিবর্তন হওয়ার নয়।’
এবিভিপি নেতা নিপুন দাস বলেন, ‘কলেজ চত্বরে সিনেমার কায়দায় প্রেম নিবেদনের এই ভিডিও তোলা হয়েছে ২০২১ সালে বা ২০২২ সালে। দু ‘জনেই এই কলেজের ছাত্রছাত্রী। বর্তমানে ওই ছাত্রছাত্রীরা কলেজে না এলেও ওই ছাত্রের মাথায় ইউনিয়নের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাদের হাত থাকার ফলে এই ঘটনা ঘটানোর সাহস পেয়েছে। কলেজের ভেতরে যাতে এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেদিকটা কড়া নজর দেওয়া উচিত কলেজ কর্তৃপক্ষের।’
কলেজ সূত্রের খবর, ভাইরাল ভিডিওতে যাদের দেখা যাচ্ছে দু’জনেই কলেজের ছাত্রছাত্রী ছিলেন। বর্তমানে তারা কেউ আর কলেজে আসেন না। কলেজের অধ্যক্ষ শুভঙ্কর চক্রবর্তী বলেন, ‘ভাইরাল এই ভিডিও দীর্ঘদিনের পুরনো। তখন তিনি কলেজে প্রিন্সিপাল পদে যোগ দেননি। যাতে নতুন করে আর বিষয়গুলো না ঘটে, শীঘ্রই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কলেজের নিরাপত্তা যাতে আর বিঘ্নিত না হয়, তার জন্য কলেজ পরিচালন সমিতির গভর্নিং বডিতে আলোচনা করে দ্রুত এই পরিস্থিতি বদল ঘটানো হবে। তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে।’ অন্যদিকে অস্বস্তিতে পড়ে এক প্রকার দায় এড়িয়ে ওই ভাইরাল ভিডিও রিল তৈরি করা হয়েছে বলে সাফাই দিয়েছেন কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতৃত্ব।
শাসক দলের ছাত্রনেতা সৌম্যদীপ গায়েন জানান, ‘ভাইরাল ভিডিও অনেকদিন আগেকার ঘটনা। খুব বেশি হলে ২০১৬ বা ২০১৭ সালের ঘটনা। ওই ভিডিওটা সম্ভবত টিকটক বা রিলের জন্য মজা করেই শ্যুটিং করা হয়েছিল। তখন আমরাও কলেজে ভর্তি হইনি। ফলে এই ভিডিও সম্পর্কে খুব বেশি আমাদের জানা নেই।’
নবাব মল্লিক