TRENDING:

দিঘা, মন্দারমণি অনেক হল! নতুন এক বিচের ঠিকানা রইল, একেবারে কাছাকাছি

Last Updated:

Beach destination- এবার কাছেপিঠে সমুদ্র সৈকত মানেই আর দিঘা মন্দারমনি নয়। রইল অজানা এক সমুদ্র সৈকতের ঠিকানা। 

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কাঁথি: ক্যালেন্ডারের পাতায় শীতকাল চলছে। আর শীতকাল মানে ঘরে মন বসে না। বিশেষ করে শীতের ছুটির দিন ও উইকেন্ডগুলিতে মন উচাটন বেড়াতে যাওয়ার বাপ পিকনিকে যাওয়ার জন্য। শীতের নরম রোদ গায়ে মেখে প্রিয়জন পরিবারের সঙ্গে পিকনিক বা বেড়ানোর আনন্দ আড্ডা উপভোগ করতে চাই না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল।
advertisement

কাছে পিঠে সমুদ্র সৈকত মানেই দিঘা-মন্দারমনি। ফলে খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ে ভ্রমণবিলাসে পর্যটকেরা। তবে এবার কাছেপিঠে সমুদ্র সৈকত মানেই আর দিঘা মন্দারমনি নয়। রইল অজানা এক সমুদ্র সৈকতের ঠিকানা।

বর্তমানে গুগলে ভার্জিন বিচ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্চ করলেই উঠে আসে একটি অজানা নাম, বাঁকিপুট। নামটাই হয়তএখনও অনেকেই শোনেনি। দিঘার খুব কাছে এই সমুদ্র সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি। কলকাতার থেকে ১৭০ কিলোমিটার এবং কাঁথি শহর থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নানান ধরনের গাছ গাছালির জঙ্গলে ঘেরা বাঁকিপুট সমুদ্র সৈকত।

advertisement

আরও পড়ুন- শীতের দিন শেষ? আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় কবে থেকে গরম পড়বে জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস

সৈকতের নীরবতা পর্যটকদের শান্তি দেবে যা সাধারণত খুঁজে বেড়ায়। পর্যটকদের একমাত্র সঙ্গী এখানে লাল কাঁকড়া। উন্মত্ত ভিড় বা দ্রুতগামী গাড়ির আওয়াজ নেই। এখনে আপনাদের শান্তিকে ব্যাহত করবে না। বিধ্বস্ত ঢেউ পায়ে চুম্বন করে। পাখির কিচিরমিচির এবং দিগন্তের ধারে যাত্রা করা জাহাজ ও নৌকার দৃশ্য মনকে অনুভব করাবে যে আপনি বাস্তব জগত থেকে অনেক দূরে একটি নির্জন দ্বীপে রয়েছেন। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের প্যানোরামিক দৃশ্য নিজের মধ্যে একটি জাদুকরী অভিজ্ঞতা।

advertisement

ভোরের সমুদ্র সৈকত অনেক বেশি মনোরম। দূষণমুক্ত পরিবেশে দেহ মন সতেজ হয়ে ওঠে। জন সমাগমের আধিক্য না থাকায় লাল কাঁকড়ায় ছেয়ে থাকে ভোরের সৈকত। সৈকতে এই লাল কাঁকড়ার অপরূপ দৃশ্য মনকে আকৃষ্ট করবে, সে দৃশ্যকে ক্যামেরা বন্দি করতে ইচ্ছে জাগে বার বার।

আরও পড়ুন- শরীর সুস্থ রাখতে সাইকেল চালানো শুরু! ১৩৫০ কিমি রেসে প্রথম স্থান বিশ্বদ্বীপের

advertisement

বাঁকিপুট থেকে একটা গাড়ি রিজার্ভ করে খুব সহজেই ঘুরে আসা যায় দরিয়াপুর থেকে। সুদূর অতীতের স্বাক্ষবহন করে চলেছে কপালকুন্ডলা কালী মন্দিরের কথা এক সময়ে স্থান পেয়েছে সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমের উপন্যাসের পাতায়। তা খুব সহজেই স্বচক্ষে দেখার সুযোগ রয়েছে বাঁকিপুটে এলে। ব্রিটিশ কালে নির্মিত দ্বারকা লাইট হাউস। ৯৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই লাইট হাউসে উঠে দেখা যায় বহু দূরের সমুদ্রপথ ধরে আগত জাহাজ গুলিকে।

advertisement

থাকার মতো জায়গা বলতে এক কিলোমিটার দূরে রয়েছে ঝিনুক রিসোর্ট। এছাড়া জুনপুটে রয়েছে সরকারি গেস্ট হাউস। ঝিনুক রিসোর্ট বা সরকারি গেস্ট হাউসের ভাড়া সাধ্যের মধ্যেই। তবে জেনে রাখা ভাল বাঁকিপুটে জোয়ারের সময়, জলের স্তর সৈকতের কাছাকাছি চলে আসে। ভাটার সময় সমুদ্র বেশ দূরে সরে যায় কিন্তু চারপাশের সুন্দর পরিবেশ আর ঘন জঙ্গলের নীরবতা তার চেয়েও বেশি কিছু পূরণ করে। দিঘা মন্দারমণি তো অনেক অনেকবার ঘোরা হয়েছে এবার একবার ঘুরে আসতে পারেন বাঁকিপুট।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

সৈকত শী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
দিঘা, মন্দারমণি অনেক হল! নতুন এক বিচের ঠিকানা রইল, একেবারে কাছাকাছি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল