তমলুক শহরের মেয়ে মাধ্যমিকেও দশম স্থান অধিকার করেছিল। তন্নিষ্ঠা দাস এর উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৪৮৭। তমলুক শহরে বাড়ি হলেও গত দু’বছর ধরে কলকাতার হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করা, বাবা মাকে ছেড়ে প্রথমে একটু অসুবিধা হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে পড়াশুনা করতে কোন অসুবিধা হয়নি।
আরও পড়ুন- ভোরবেলা পড়তে বসতেই ভাল লাগত বেশি, মাধ্যমিকে ষষ্ঠ আফরিন চান চিকিৎসক হতে
advertisement
এই মেধাবী ছাত্রী টি ২০২২ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিল তমলুক শহরে স্কুল রাজকুমারী শান্তনাময়ী হাই স্কুল থেকে। সেবার মাধ্যমিকে দশম স্থান অর্জন করেছিল। তার পর থেকেই সর্বভারতীয় পরীক্ষায় ভালো ফলের লক্ষ্য নিয়েই কলকাতার যোধপুর পার্ক পাথফাইন্ডার হায়ার সেকেন্ডারি পাবলিক স্কুলে ভর্তি হয়।
২০২৪ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ওই স্কুল থেকেই সে দিয়েছিল। ৮ মে উচ্চ মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় তন্নিষ্ঠার নাম দশম স্থানে রয়েছে।
তন্নিষ্ঠা স্কুল হোস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করত। বাড়িতে রয়েছে মা-বাবা ও যমজ বোন। তন্নিষ্ঠার জমজ বোন উপনিতা দাসও একই স্কুলে দিদির সঙ্গে পড়ত। সেও স্কুল হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছে। উপনিতা দাস মাধ্যমিকের দিদির থেকে ৪ নাম্বার কম পেয়েছিল, প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৬৮০।
এবারে তন্নিষ্ঠার বোন উপনিতার এখনও রেজাল্ট জানা যায়নি তবে ভালই হবে এমনটাই জানালেন পরিবারের সদস্যরা। আগামী দিনে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়বে এমনটাই জানালেন তন্নিষ্ঠা দাস।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকের পরে উচ্চ মাধ্যমিকেও জয়জয়কার নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনের!
উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশের সময় মেধা তালিকায় তন্নিষ্ঠার নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই তমলুকের বাড়িতে বাবা-মা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা আনন্দে মেতে ওঠেন।
সৈকত শী