এই প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমরেশ দেবনাথ বলেন, ‘বিদ্যালয় ছুটির আগে অভিভাবকদের নিয়ে মিটিং হয়েছিল। সেখানেই পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের অভিভাবকরা আমাদের কাছে আবেদন করেন কিছুক্ষণ করে প্রতিদিন পড়ানোর জন্য। তাই পড়ুয়াদের জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। প্রতিদিন সকালে দেড় ঘণ্টা করে ৮:৩০ থেকে ১০ পর্যন্ত ক্লাস করানো হচ্ছে।’ পিছিয়ে পড়া পড়ুয়ারা সেভাবে বাড়িতে পড়াশোনা করেনা। তাই যদি তারা এই ছুটিতে বিদ্যালয়ে না আসে তাহলে যেটুকু শিখেছে সেটাও ভুলে যাবে। এছাড়াও পড়ুয়াদের অভিভাবকদের অনুরোধে সকলের কথা ভেবে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কথায়, এমন উদ্যোগ এ বারই প্রথম নয়। ২০১৮ সাল থেকে তাঁরা গরমের ছুটিতে পিছিয়ে পড়া পড়ুয়াদের জন্য বিদ্যালয় খোলা রাখেন।
advertisement
প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়তে আসে জাহান্নগর, পরানপুর, সুলুন্টু গ্রামের একাধিক পড়ুয়া। বিদ্যালয়ে বর্তমানে পড়ুয়ার সংখ্যা ১৯২, এছাড়াও রয়েছেন পাঁচ জন শিক্ষক, শিক্ষিকা। অঙ্কন এবং কম্পিউটারের জন্য রয়েছেন দুজন অতিথি শিক্ষক। প্রধান শিক্ষক অমরেশ বাবু আরও জানিয়েছেন, ‘সোম, বুধ, শুক্র পড়ানো হচ্ছে প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়াদের। মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনিবার দ্বিতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারাদের পড়ানো হচ্ছে। স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষিকারা পালা করে বাংলা, ইংরেজি এবং অঙ্ক শেখাচ্ছেন। এছাড়াও অঙ্কন এবং কম্পিউটারের ক্লাসও করানো হচ্ছে।’
পূর্ব বর্ধমান জেলার এই বিদ্যালয় সত্যিই এক অন্যতম দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পড়ুয়াদের কথা ভেবে ছুটি বাদ প্রতিদিন বিদ্যালয়ে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন ভূমিকা এবং উদ্যোগ একেবারে সবথেকে আলাদা। স্থানীয় অনেকেই এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী