Bollywood Gossip: 'শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে...!' অবস্থা খারাপ মাধুরীর, ভয়ে থর থর করে কাঁপছিলেন 'খলনায়ক', শ্যুটিং সেটে কী ঘটেছিল সেদিন? জানলে ঘুম উড়বে

'পুকার', 'আনজাম', খলনায়ক, তেজাব, 'সাজন', 'বেটা', 'হাম আপকে হ্যায় কৌন', এগুলো মাধুরী দীক্ষিতের সেই সব ছবি, যার গান ও গল্প মানুষ আজও ভুলতে পারেনি। মাধুরী দীক্ষিত কেবল তার স্টাইল এবং নাচের জন্যই নয়, তার শক্তিশালী সংলাপ সরবরাহের জন্যও পরিচিত। পর্দায় তার অভিনয় অনন্য। তিনি কেবল বিখ্যাত অভিনেতাদের সঙ্গেই নয়, পর্দার বিখ্যাত খলনায়কদের সঙ্গেও কাজ করেছেন।

এই তালিকায় অমরেশ পুরী, নানা পাটেকর, ড্যানি ডেনজংপার মতো অনেকের নাম রয়েছে, যারা পর্দায় তাদের নেতিবাচক ভূমিকা দিয়ে মানুষকে অনেক ভয় দেখিয়েছিলেন। পর্দায় তাদেরকে দেখার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শকরা বুঝতে পারত যে কিছু ঘটতে চলেছে। এমনই একজন 'ভিলেন' আছেন যাকে মাধুরীর সঙ্গে একটি ধর্ষণের দৃশ্যের শুটিং করতে হয়েছিল, কিন্তু জানলে অবাক হবে এই দৃশ্যের সময়তিনি নিজেই ভয় পেয়েছিলেন।

এই অভিনেতা আর কেউ নন, প্রবীণ অভিনেতা গোবিন্দ নামদেব, যার চরিত্রগুলি সমাজের কুসংস্কার, দুর্নীতি বা স্বৈরাচারী মনোভাবের মুখ ফুটে তুলে ধরত। কখনও তাকে একজন শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখা হত, কখনও দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ অফিসার হিসেবে, কখনও রক্ষণশীল পরিবারের প্রধান হিসেবে, আবার কখনও মাফিয়াদের সঙ্গে যুক্ত নেতা হিসেবে। তিনি ১৯৯৬ সালের 'প্রেমগ্রন্থ' ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করেছিলেন। তিনি এই ছবিতে 'ঘনশ্যাম' চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন।

শুটিংয়ের সময় 'খলনায়ক' নার্ভাস হয়ে পড়েছিলেন ছবিতে, 'ঘনশ্যাম' হলেন সেই ব্যক্তি যিনি 'মন্দা'কে ধর্ষণ করেন। ছবির এই দৃশ্যটি গোবিন্দ নামদেব এবং মাধুরী দীক্ষিতের মধ্যে শুটিং করার কথা ছিল, কিন্তু শুটিংয়ের সময় তাদের দু'জনেরই অবস্থা খারাপ ছিল।

বিখ্যাত খলনায়ক গোবিন্দ নামদেব এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে 'প্রেম গ্রন্থ' ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে ধর্ষণের দৃশ্যের শুটিং করার সময় তিনি নার্ভাস ছিলেন, কিন্তু মাধুরী দীক্ষিতই সেই দৃশ্যের শুটিং সহজ করে দিয়েছিলেন। সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ নামদেব আরও বলেছিলেন যে, ছবির ধর্ষণ দৃশ্যের শুটিংয়ের পর তিনি মাধুরী দীক্ষিতের ভক্ত হয়ে ওঠেন।

গোবিন্দ নামদেব মাধুরী দীক্ষিতকে বলেছিলেন, 'তার (মাধুরী দীক্ষিতের) মনোভাব আমাকে খুব স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করিয়েছিল।' আমরা দৃশ্যটি প্রায় শেষের দিকে শুট করেছিলাম... আমি হাত জোড় করে বললাম, আমি ভয় পাচ্ছিলাম যে কিছু একটা ঘটতে পারে এবং আমাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যেতে পারে'। অভিনেতা বলেন, মাধুরী আমাকে মুক্ত বোধ করিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, যদি একজন নতুন অভিনেতা নার্ভাস এবং সতর্ক থাকেন। যদি সে একজন বড় অভিনেতার কাছ থেকে এমন সাহায্য পায়, তাহলে সে তার ১০০ শতাংশ দিতে পারবে। কিন্তু সত্য হল, সাধারণত এমনটা ঘটে না।কিন্তু মাধুরী শুরু থেকেই আমাকে অনেক সাহায্য করেছিল।

১৯৯৬ সালের 'প্রেমগ্রন্থ' ছবিটির কথা বলতে গেলে, ছবিটি পরিচালনা করেছিলেন রাজীব কাপুর। এই ছবিতে ঋষি কাপুরও মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন। এই ছবিটি থমাস হার্ডির উপন্যাস 'টেস অফ দ্য ডি'আরবারভিলস'-এর একটি রূপান্তর। 'প্রেম গ্রন্থ'-এর বাজেট ছিল প্রায় ৬ কোটি টাকা। ছবিটি ভারতে প্রায় ৭.৭৫ কোটি টাকা এবং বিশ্বব্যাপী ১১.৫৭ কোটি টাকা আয় করেছিল।