সাধারণত দক্ষিণ এশিয়ায় এই পাখির দেখা মেলার কথা নয়। এরা এশিয়ার তুন্দ্রা অঞ্চল এবং বেরিং প্রণালীর ওপারে উত্তর আমেরিকার বাসিন্দা। শীতকালে এই পাখি পরিযায়ী হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকা ও ওশিয়ানিয়া অঞ্চলে যায়। ফলে এই পাখি ফ্রেজারগঞ্জে দেখা যাওয়ায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পছন্দমতো নেওয়া যাবে জামা, লাগবে না কোনও টাকা! পুজোর আগে জেলায় ‘মানবতার দেওয়াল’
advertisement
পক্ষীপ্রেমী সংগঠন ‘বার্ড ওয়াচার্স সোসাইটি’র কর্তা কণাদ বৈদ্য এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বুধবার ফ্রেজারগঞ্জের কার্গিল বিচে পরিযায়ী পাখিদের গতিবিধি খুঁজতে গিয়েছিলেন অগ্নিভ দাশগুপ্ত, সৌমজিৎ তালুকদার, শান্তনু ঘোষ এবং পত্রালি পাল। সেখানেই ওই প্রজাতির একটি পাখির দেখা পেয়েছেন তাঁরা।
আন্দামান ও নিকোবর, মহারাষ্ট্র, কেরল এবং গুজরাতে এই প্রজাতির পাখি আগে দেখা গিয়েছে। শ্রীলঙ্কাতেও পরিযায়ী হিসেবে এদের অস্তিত্ব নথিভুক্ত হয়েছে। তবে বাংলা তথা পূর্ব ভারতে এই প্রথম পেক্টোরাল স্যান্ডপাইপার পাখি দেখা গেল। কাদা ও পলিমাটিযুক্ত সমুদ্র সৈকতে খাবার খুঁজতে দক্ষ কাদাখোঁচা গোত্রের এই পাখিকে শীতকালে নিয়মিত ওয়াশিয়ানিয়া অঞ্চলে দেখা যায়। ফ্রেজারগঞ্জে এই পাখির অস্তিত্ব মেলায় সাড়া পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পাখির পিঠ ধূসর-বাদামি, গ্রীষ্মে সবচেয়ে বাদামি ও শীতকালে সবচেয়ে ধূসর। এই পাখির পা হলুদাভ এবং ঠোঁট জলপাই রঙের, ডগা গাঢ়। এই পাখিই এবার দেখা গেল বাংলার ফ্রেজারগঞ্জে। ফলে পরিযায়ী পাখির তালিকায় নতুন সংযোজন হল।