রাত জেগে কোন অশরীরী, অলৌকিক কোনও কিছু দেখা যায়নি। বিজ্ঞানমনস্ক সংগঠনের সদস্যদের বাইকের স্টার্ট বন্ধ হয়ে যায়নি। পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেনি কেউ। ফলে শরীর জুড়ে আঁচড়ের রক্তও চোখে পড়েনি। চোখে দেখা তো দূর অনুভূতিতেও কোনও অশরীরী-র টের পাওয়া যায়নি।
ফ্রিজে জমে উঠছে বরফের পাহাড়? করুন এই ‘ছোট্ট’ কাজ…! বার বার পরিষ্কারের ঝামেলা থেকে মুক্তি সহজেই!
advertisement
জবা গাছে ফুল আসে না? ১৫ দিন অন্তর এই ‘কালো’ জিনিস দিন গোড়ায়…! ফুল রাখার জায়গা পাবেন না!
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পুরুলিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তথা চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায় বলেন, কোথাও কোনও অশরীরী, অলৌকিক শক্তির অনুভব তিনি করেননি। এই রাস্তায়থাকা তেঁতুল গাছ বা জনশূন্য পিচের পথকে ঘিরে যা কিছু রটানো হয়েছিল সবটাই গুজব। এরপরও যদি ভূত-প্রেত কুসংস্কার নিয়ে গুজব ছড়ানো হয় তাহলে তারা পুলিশের দ্বারস্থ হবেন। এ বিষয়ে ভারতীয় বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী সমিতি পুরুলিয়া জেলা কমিটির সম্পাদক মধুসূদন মাহাতো বলেন, সবটাই গুজব। ভূত বা ভগবানের কোনও অস্তিত্ব নেই। বিজ্ঞানের এই যুগে মানুষকে বাস্তববাদী হতে হবে। নিজের কর্ম করে যেতে হবে। না হলে এই ধরনের অপপ্রচার চলতেই থাকবে।
দৃষ্টিশক্তি হবে ঈগলের মতো, ‘হার্ট’ থাকবে ভাল! এই সবজি সপ্তাহে একবার খান…মিলবে চমকপ্রদ ফল!
ভারতীয় বিজ্ঞান যুক্তিবাদী সমিতি বিকাল চারটার সময়ই প্রতিনিধি দলকে নিয়ে ওই এলাকায় যায়। এবং গ্রামের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলে। ওই বিজ্ঞানমনস্ক সংগঠনের সঙ্গে ওই এলাকার মানুষজনও ছিলেন। তারপর তারা সন্ধ্যেবেলায় অর্জুনজোড়া মোড় থেকে কেশরগড় যাওয়ার রাস্তায় আসেন। ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরাও। ওই এলাকায় পা রেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একের পর এক লাইভ করে তারা জানায় ভূত বলে কিছু নেই।
ওই এলাকায় যা হচ্ছে তা গুজব। নটা পর্যন্ত ওই দুই বিজ্ঞানমনস্ক সংগঠনের সঙ্গে পুলিশও ছিল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশও ওই এলাকায় একাধিকবার টহল দিয়ে যায়। কিন্তু অশরীরী বা ভূতের কোনও দেখা নেই। ঠিকবেগুনকোদরের মতোই অর্জুনজোড়ায় ভুতের গুজব রটানো হয়েছে বলেই দাবি তাদের।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি