চিন্তার কোনও কারণ নেই, বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে গেলেই সেই কার্যসিদ্ধি হয়ে যাবে। দফতরের দেওয়াল জুড়ে শুধুই ছবির পর ছবি। কোথাও পর্যটন,আবার কোথাও পশু পাখি। দেওয়ালের সর্বত্র শুধুমাত্র খাতড়া মহকুমারই বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাজানো রয়েছে। সরকারি অফিসে নিত্যদিন হাজার মানুষের ভিড় লেগেই থাকে। বিভিন্ন সরকারি কাজ করতে এসে অপেক্ষা করার সময় নিজের মহকুমা সম্পর্কে অব্যাহত করার জন্যেই এই উদ্যোগ।
advertisement
মুকুটমনিপুরে যে সকল পরিযায়ী পাখি আসে তার চিত্র, রয়েছে পর্যটন সংক্রান্ত এবং বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পথের পথ চিত্র। এছাড়াও আদিবাসী সংস্কৃতি, রাজবাড়ি, স্থাপত্য, শিল্প, জীবিকা এবং জীবন যাপন। দেওয়ালে জায়গা পেয়েছে বিভিন্ন আদিবাসী রীতি নীতির ছবি। টুসু, ভাদু থেকে শুরু করে সাঁওতালি পরব, নৃত্য এবং বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সাজানো। নীচের তলা থেকে উপর তলা পর্যন্ত বাদ যায়নি কোনও দেওয়াল। এ যেন মহকুমা সম্পর্কে এক ‘এনসাইক্লোপিডিয়া’।
পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন মানচিত্রে বাঁকুড়া জেলার নাম পৌঁছে গেছে কোনায় কোনায়। এতে খাতড়া মহকুমার ভূমিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই মহকুমার আনাছে কানাচে লুকিয়ে রয়েছে সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, মনোরম জঙ্গল, এবং ছোট পাহাড়। ছড়ানো ছেটানো রয়েছে আদিবাসী সংস্কৃতি এবং ইতিহাস। যতটা নথিভুক্ত করা গেছে তার বেশিরভাগটাই পেয়ে যাবেন মহকুমা শাসকের কার্যালয়ে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী





