অনেক জায়গায় মেয়ে হয়ে জন্মানো মানে পরিবারের কাছে বোঝার মতো হয়ে যাওয়া। কিন্তু অনেকে জানেন না, একজন মেয়েও একদিন বদলে দিতে পারে গোটা জীবন। তিনি যেমন পরিবারে ছেলের সমান কাজ করে তাক লাগাতে পারেন, তেমনই বাবা-মায়ের অসুস্থতার সময়ে পাশে দাঁড়িয়ে সংসারের হাল নিজের কাঁধে তুলে নিতেও পিছপা হন না। বর্তমানে এমনটাই করে দেখাচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোলের এই মেয়ে। যোগা ক্লাস করিয়ে সংসারের হাল ধরেছেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল নেতার দোকানে পুলিশি হানা! তল্লাশি চালাতেই যা মিলল… সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার
ইউতি চ্যাটার্জি বলেন, যোগা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পুরোপুরি আমার মায়ের হাত রয়েছে। ক্লাস ফোর-ফাইভে পড়ার সময় আমি স্কুলে খুবই চুপচাপ থাকতাম। তখনই মায়ের মনে হয়েছিল কোনও একটি কিছুতে ভর্তি করে দিতে হবে। সেই সময় যোগা ক্লাসে ভর্তি করে দেন। তখন থেকেই আস্তে আস্তে যোগা প্রশিক্ষণ শুরু করি। বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়েছি, ধীরে ধীরে এল সাফল্য। আগামীতে এটা নিয়েই এগিয়ে যেতে চাই।
আসানসোল মহকুমার অন্তর্গত ৮৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমাইল এলাকায় বাড়ি ইউতি চ্যাটার্জির। বাবা পূর্বে পেশায় ছিলেন একজন রেলের হকার। মা সাথী চ্যাটার্জি গৃহবধূ। বর্তমানে বাবার অসুস্থতার কারণে বাইরে গিয়ে আর সেভাবে কাজ করে উঠতে পারেন না, মা শারীরিকভাবে অসুস্থ। এই দুর্দিনে তাঁদের একমাত্র মেয়ে পুরো সংসারের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বাড়ির যাবতীয় কাজ, এমনকি বাবা-মায়ের চিকিৎসার খরচ ও ঔষধের পুরো খরচ- সবটাই ইউতি চালান। যোগা ক্লাসের উপার্জন দিয়ে সংসারের হাল ধরে রেখেছেন তিনি। তাঁর এই জীবন সংগ্রামকে এলাকার সাধারণ মানুষ কার্যত কুর্নিশ জানিয়েছে।





