তৃতীয় স্থান অর্জন করে ব্রোঞ্জ পদক জিতে নেন পৃথা। ২০১৬ সালে মাত্র ৯ বছর বয়সে ব্যাঙ্গালোরে প্রথম ন্যাশনাল খেলে পৃথা। ২০১৭ সালে পুনেতে তার প্রিয় ইভেন্ট ব্রেস্ট স্ট্রোকে রুপো জেতে। ২০১৬- ২০২৫ সাল পর্যন্ত মোট ১৮ বার জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় পুলে নামে সে। ২০২৩ সালে ভুপালে প্রথম খেলো ইন্ডিয়ায় গিয়ে সেখানেও ব্রোঞ্জ জেতে। রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও দুবার ‘খেলা শ্রী’ পুরস্কার অর্জন করেছে। সেখানে তাকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছিল। মেয়ের খেলার জন্য অনেক টাকা ঋণ নিতে হয়েছিল মা ঝুমাকে।
advertisement
রাজ্য সরকারের আর্থিক সাহায্যে সেই ঋণের টাকা শোধ হয়। হুগলির সিমলাগড় চাঁপাহাটি কলোনির বছর ১৮-র পৃথা দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও বরাবরই আগ্রহী এই বঙ্গ তরুণী। তার বাবা ভোলানাথ দেবনাথের সিমলাগড় জিটি রোডের পাশে রয়েছে চায়ের দোকান। এই দোকান চালিয়ে যা উপার্জন হয় তা দিয়েই তিনি সংসার চালান। তবে মেয়ের খেলাধুলার জন্য কোন কিছুতে খামতি রাখেননি তিনি। মাত্র তিন বছর বয়সে পৃথাকে বাড়ির পাশে বিশাল বালি খাদানে নিয়ে গিয়ে সেখানে সাঁতার শেখাতেন। তার মা কিছুটা ভয় পেলেও বাবার ইচ্ছা ছিল মেয়েকে সাঁতার শেখানো। পরবর্তীতে মা মেয়েকে নিয়ে যেতেন সাঁতার শেখাতে।
প্রায় ১৪ বছর ধরে চুঁচুড়া সুইমিংপুলে নির্মল দত্তের কাছে সাঁতার শেখে পৃথা। মেয়ের সাফল্যে গর্বিত তার বাবা ও মা। পৃথা বলেন, বাবার স্বপ্ন ছিল আমাকে সাঁতার শেখানো। সেইমত আমাকে ছোটবেলা থেকে সাঁতার শেখাত। পরে মা আমাকে সুইমিং ও কম্পিটিশনে নিয়ে যায়। প্রতিদিন ভোর চারটের ট্রেন ধরে চুঁচুড়ায় সুইমিং শিখতে যাই। বাড়ি ফিরে স্কুল গিয়ে আবার বিকেলে সাঁতার শিখতে যাই। প্রায় ১৪ বছর ধরে সেখানেই সাঁতার শিখছি। আগামী দিনে ভারতের হয়ে খেলতে চাই। পৃথার মা ঝুমা দেবনাথ বলেন, মেয়ে ছোট থেকে খেলাধুলা ভালবাসে। বিভিন্ন জায়গায় ন্যাশনাল খেলতে গিয়ে সেখান থেকে পুরস্কার পেয়েছে। ২০২৫ এ গয়ায় ন্যাশনাল খেলতে গিয়ে সেখান থেকে ব্রোঞ্জ জয় করেছে। ন্যাশনাল গেমসে একবার দ্বিতীয় তৃতীয় হয়েছিল। তার জন্য রাজ্য সরকার তাকে পুরস্কৃত করে এবং ৩ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য করে। মেয়ের খেলার জন্য লোন নিতে হয়েছিল। সেই লোনের সমস্ত টাকা শোধ করেছি। ইচ্ছা রয়েছে মেয়ে অলিম্পিক খেলে দেশের নাম উজ্জ্বল করুক। রাহী হালদার






