ছোটবেলার নানান স্মৃতি। নানান রকমের মাটির পুতুল নিয়ে আমাদের অনেকেরই ছোটবেলা কেটেছে বেশ স্মৃতিমধুর ভাবেই। কখনও মাটির পুতুলের সংসার আবার কখনও কাঠের পুতুলের “পুতুল নাচ”। তবে এবার একটু অন্য ধরনের পুতুলের গল্প শোনাতে পুজো আসলেই ডাক পরে এই শিল্পীর।
চাহিদা থাকলেও পুজোর সময় ছাড়া তাকে আর ডাকে না কেউ। কোনভাবেই পূর্বপুরুষের স্মৃতিকে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার রামবাটি গোপালনগর এলাকার বাসিন্দা মঙ্গল নস্কর। বিভিন্ন প্রতিমাকে নিজের হাতে তৈরি করে সেই তাঁর হাত-পা নেড়ে কথা বলিয়ে জীবন্ত করে তোলেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফুটপাতে টোটো সারাচ্ছিল বাবা-ছেলে মিলে, উড়ে এসে পিষে দিল ট্রাক! ১৯-এই শেষ, ডায়মন্ড হারবারে চাঞ্চল্য
উৎসব অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের পুতুল নাচের অনুষ্ঠান হয়। কোথাও পুতুল নিজে কথা বলছে আবার কোথাও নাচ গান করে আনন্দ দিচ্ছে। তবে এখানে কোন পুতুল নয়, রাধাকৃষ্ণ, চৈতন্য মহাপ্রভু-সহ নানান মহাপুরুষদের মূর্তি পুতুলের মতোই হাত পা নেড়ে কথা বলে। এ এক প্রাচীন বাংলার শিল্পকলা, তাকে আঁকড়েই বেঁচে আছেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই শিল্পী। এই প্রাচীন শিল্পের শোয়ের চাহিদা দুর্গাপুজোর সময় থাকলেও শ্যামা পুজাতে চাহিদা অনেক গুণ বেশি থাকে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শিল্পী নিজের হাতে প্রতিমার বিভিন্ন রূপ ফুটিয়ে তোলেন। সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নততর করতে এই প্রতিমার মাধ্যম দিয়ে দর্শকদের সামনে বিভিন্ন সচেতনতার বার্তাও তুলে ধরা হয়।
তার পাশাপাশি বিভিন্ন দেব-দেবীর পৌরাণিক কাহিনির তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এছাড়া বর্তমান সমাজের বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রচার মানুষের মধ্যে উদ্ভাসিত করেন।
এই কর্মকাণ্ড থেকে তার অধিক উপার্জন না হলেও তার পূর্বপুরুষের মহৎ এই শিল্পটাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মঙ্গল নস্কর। মানুষের মধ্যে শিক্ষা এবং সচেতনতার বার্তা বহন করাই তার মুখ্য উদ্দেশ্য।






