তার কথায়, সেল্ফস্টাডির থেকে বড় কিছুই হতে পারে না। নিজেকে নিজের গুরু বানিয়ে দিনের পর দিন ছবি আঁকা অভ্যেস করে গিয়েছেন কাটোয়ার এই শিল্পী। এই প্রসঙ্গে চিত্রশিল্পী বুদ্ধদেব ব্যানার্জি জানিয়েছেন, “আর পাঁচজনের মত আমার শুরুটা হয়নি। নিজের চেষ্টাতেই আমি আজকে এত দূর পৌঁছেছি। তবে আমার পরিবারের শিল্প, সাহিত্যিক, কবি রয়েছেন। আমিও একজনের কাছে মাত্র কয়েক দিনের জন্য ছবি আঁকা শিখেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমি সেল্ফ স্টাডি করে এই জায়গায় এসেছি। বুদ্ধদেব ব্যানার্জী আরও জানিয়েছেন, “চেষ্টা হচ্ছে সব থেকে বড় বিষয়। চেষ্টা করেছিলাম বলেই আজকে আমি রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দিতে পারি। এখন আমার প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ,বেশ কয়েকটি পাবলিক স্কুলেও আমি ছবি আঁকা শেখাই।”
advertisement
আরও পড়ুন: দুজেলায় ট্যাবের টাকা উধাও হওয়া নিয়ে তদন্তের আওতায় প্রধান শিক্ষকরা, বড় সিদ্ধান্ত
উচ্চ মাধ্যমিকের পর নানান সমস্যার জেরে আর পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি বুদ্ধদেব। অর্থ উপার্জনের তাগিদে বেশ কিছুদিন কয়েকটি দোকানে কাজও করতে হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে গ্রামের স্থানীয় কিছু মানুষের উৎসাহ এবং নিজস্ব ভালো লাগায় জোরকদমে শুরু করেন ছবি আঁকা। বর্তমানে নিজে শিল্প চর্চার পাশাপাশি, অন্যদের প্রশিক্ষণও দিয়ে থাকেন বুদ্ধদেব বাবু। নিজের গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রাম মিলিয়ে প্রায় তিনশোর অধিক ছাত্রছাত্রী রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: কাঁচের চশমার দিন শেষ! পেশা বদলাচ্ছে কারিগররা
ছবি আঁকার চর্চা করে আজ তিনি নিজেকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বুদ্ধদেব বাবু এখন রাজ্য ছাড়িয়ে ভিন রাজ্যেও পাড়ি দেন। ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, বিহার সহ একাধিক রাজ্যেও পাড়ি দিয়েছেন তিনি। প্রফেশনাল ভাবে প্রশিক্ষণ না নিয়ে তিনি যা করে দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী





