বর্তমান প্রজন্মের কাছে চিয়া বীজের বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে, এই বীজের চাষ করে ভাল উপার্জনে আশার আলো দেখছেন বীরভূমের কবিগুরুর বোলপুর শান্তিনিকেতনের চাষিরা। বীরভূমের বোলপুর ব্লক কৃষি দফতরের সহযোগিতায় সুদূর কর্ণাটক এবং তার আশেপাশের জায়গা থেকে এর বীজ এনে চিয়া বীজ চাষ শুরু করেছেন প্রাথমিক ভাবে চারজন চাষি।অল্প জল,স্বল্প খরচেই এই চাষ করা যায়, উপার্জনও বেশ ভাল হয়৷ তাই গতানুগতিক ধান, আলু, গম, সর্ষে চাষ ছেড়ে নতুন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।
advertisement
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে পাক ক্রিকেট খেলা হোক বলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, তাতেই গর্জে উঠেছে ঝালদাবাসী!
শুধু এখানেই শেষ না অনেকে নিজের ইচ্ছেই বাড়ির পাশে অল্প বিস্তার জায়গাতে এই চিয়া বীজ ফলাচ্ছেন। এটি চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা খাটনি নেই বলে খুব সহজে চাষ করা হচ্ছে।তবে এবার প্রশ্ন এই গাছের কোথায় থেকে উৎপত্তি। এই বিষয়ে জানা গেছে দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকোয় এই গাছ প্রথম দেখা গিয়েছিল।পরবর্তীতে নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।ভারতের কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি জায়গায় বেশি চাষ হয় চিয়া বীজ। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টিপাত কম হয়, তাই ভাল ফলন হয় চিয়া বীজের।
তবে কীভাবে চাষ করা হয় এই বীজ!চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে,এক থেকে দুই বার লাঙল বা ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চষতে হয়। ধান জমির মতো জমি জলপূর্ণ করতে হয় না। ফলে খাটনি অনেকটাই কম হয়। অল্প ভেজা ভেজা উর্বর জমিতে বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়। বিঘা প্রতি ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি থেকে শুরু করে ১২০০ বীজ ছড়িয়ে দিতে হয় ৷ অঙ্কুরোদগমের কিছুদিন পর অল্প জল দিতে হয়। বেশি সেচ লাগে না। সাড়ে তিন থেকে চারমাসের মধ্যে ভাল ফলন হয়। তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়িতেই অল্প জায়গা থাকলে এই চাষ করতে পারবেন। তাহলে আপনাকে আর বাজার থেকে বেশি দামে কিনে খাবার প্রয়োজন নেই।





