TRENDING:

বীরভূমের মাটিতে চাষ হচ্ছে এই বীজ! কেমন চাহিদা রয়েছে?

Last Updated:

কী পদ্ধতিতে বাড়িতে চাষ করবেন চিয়া বীজ, বাজার থেকে আর কিনে আনার প্রয়োজন নেই

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সৌভিক রায়, বীরভূম: বর্তমানে ব্যস্ততার জীবন সকলের, আর এই সময় শরীর ফিট রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। আর আজকাল ওজন কমানোর জন্য বিভিন্ন ধরনের বীজ ভেজানো জল খাওয়ার চল হয়েছে। এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চিয়া সিড। শুধু চিয়া সিড ভেজনাও জল নয়, অনেকেই স্মুদির মধ্যে চিয়া সিড মিশিয়েও খেয়ে থাকেন। কিংবা ব্রেকফাস্টের মেনুতে থাকে চিয়া সিড, দই আর ফল এবং ড্রাই ফ্রুটসের নানান মিশ্রণ। নিঃসন্দেহে এই খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর। চিয়া সিড খেলে ওজন কমে। ফাইবার থাকায় এই খাবার দীর্ঘক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখে। ফলে বারং বার খাই ভাব কমে।
advertisement

বর্তমান প্রজন্মের কাছে চিয়া বীজের বিপুল চাহিদার কথা মাথায় রেখে, এই বীজের চাষ করে ভাল উপার্জনে আশার আলো দেখছেন বীরভূমের কবিগুরুর বোলপুর শান্তিনিকেতনের চাষিরা। বীরভূমের বোলপুর ব্লক কৃষি দফতরের সহযোগিতায় সুদূর কর্ণাটক এবং তার আশেপাশের জায়গা থেকে এর বীজ এনে চিয়া বীজ চাষ শুরু করেছেন প্রাথমিক ভাবে চারজন চাষি।অল্প জল,স্বল্প খরচেই এই চাষ করা যায়, উপার্জনও বেশ ভাল হয়৷ তাই গতানুগতিক ধান, আলু, গম, সর্ষে চাষ ছেড়ে নতুন চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা।

advertisement

আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে পাক ক্রিকেট খেলা হোক বলেছেন সৌরভ গাঙ্গুলী, তাতেই গর্জে উঠেছে ঝালদাবাসী!

শুধু এখানেই শেষ না অনেকে নিজের ইচ্ছেই বাড়ির পাশে অল্প বিস্তার জায়গাতে এই চিয়া বীজ ফলাচ্ছেন। এটি চাষের ক্ষেত্রে খুব একটা খাটনি নেই বলে খুব সহজে চাষ করা হচ্ছে।তবে এবার প্রশ্ন এই গাছের কোথায় থেকে উৎপত্তি। এই বিষয়ে জানা গেছে দক্ষিণ আমেরিকা, মেক্সিকোয় এই গাছ প্রথম দেখা গিয়েছিল।পরবর্তীতে নাতিশীতোষ্ণ দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে।ভারতের কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ প্রভৃতি জায়গায় বেশি চাষ হয় চিয়া বীজ। কারণ এই অঞ্চলগুলিতে বৃষ্টিপাত কম হয়, তাই ভাল ফলন হয় চিয়া বীজের।

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
আতঙ্কের দিন শেষ, বিরাট স্বস্তি চন্দ্রকোনায়! প্রশাসনের উদ্যোগে অবশেষে পরিস্থিতির বদল
আরও দেখুন

তবে কীভাবে চাষ করা হয় এই বীজ!চাষিদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে,এক থেকে দুই বার লাঙল বা ট্রাক্টরের মাধ্যমে জমি চষতে হয়। ধান জমির মতো জমি জলপূর্ণ করতে হয় না। ফলে খাটনি অনেকটাই কম হয়। অল্প ভেজা ভেজা উর্বর জমিতে বীজ ছড়িয়ে দিতে হয়। বিঘা প্রতি ৮০০ গ্রাম থেকে এক কেজি থেকে শুরু করে ১২০০ বীজ ছড়িয়ে দিতে হয় ৷ অঙ্কুরোদগমের কিছুদিন পর অল্প জল দিতে হয়। বেশি সেচ লাগে না। সাড়ে তিন থেকে চারমাসের মধ্যে ভাল ফলন হয়। তাই আপনি চাইলে আপনার বাড়িতেই অল্প জায়গা থাকলে এই চাষ করতে পারবেন। তাহলে আপনাকে আর বাজার থেকে বেশি দামে কিনে খাবার প্রয়োজন নেই।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বীরভূমের মাটিতে চাষ হচ্ছে এই বীজ! কেমন চাহিদা রয়েছে?
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল