TRENDING:

SIR: SIR-এর দায়িত্ব পড়লে ছুটি নিতে পারবেন শিক্ষকরা? পড়ুয়াদের ক্লাসই বা নেবেন কারা? চিন্তিত বিএলও-রা

Last Updated:

SIR: শিক্ষকদের অতিরিক্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব দিলে নিয়মিত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে ছোটদের মৌলিক শিক্ষায়।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
কালনা, বনোয়ারীলাল চৌধুরী: প্রধান শিক্ষক-সহ চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে একসঙ্গে বিএলও-র (বুথ লেভেল অফিসার) দায়িত্ব দেওয়ায় তীব্র সমস্যায় কালনার পাঁচরখী বাণী বিদ্যামন্দির প্রাইমারি স্কুল। নিয়মিত পাঠদান স্বাভাবিকভাবে চালানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ! স্কুলের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, একদিকে স্কুল পরিচালনা, অন্যদিকে মাঠে নেমে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ দুটি সামলানো কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে।
advertisement

একই পরিস্থিতির ছায়া দেখা যাচ্ছে কালনা ২ নম্বর ব্লকের আনোখা কুলেপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সেখানে মোট ৫৪ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষক। অথচ দু’জনকেই একসঙ্গে বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে একমাসের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমায় সব প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে স্কুলের পাঠদান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

advertisement

এ প্রসঙ্গে কালনার পাঁচরখী বাণী বিদ্যামন্দির স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর পাল বলেন, “বিদ্যালয়ের চারজনই বিএলও এর দায়িত্ব পেয়েছি। একজনও যদি অফ থাকত তাহলে তিনি অন্তত স্কুল চালাতে পারতেন। কিন্তু আমাদের অন ডিউটি থাকলেও স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। তবে আমার নিজস্ব মতামত পড়ুয়াদের পড়াশোনায় একটু হলেও প্রভাব পড়বে।” অভিভাবকদের মধ্যেও ইতিমধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁদের কথায়, “আমরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই পড়াশোনার জন্য। কিন্তু যদি শিক্ষকরা এসআইআর-এর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে ক্লাস নেবে কে? বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে তো আমরা চিন্তিত হবই।”

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ তৈরির সময় ‘এই’ ভুলেই চামড়া হয় রুটি! আর নয়, জানুন ছোট্ট কৌশল, রুটি হবে তুলতুলে নরম, পেটের সমস্যাও গায়েব

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'শস্য ভাণ্ডারে' ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা! অনিশ্চতায় সুগন্ধি ধান, বিপুল লোকসানের আশঙ্কা
আরও দেখুন

অন্যদিকে, আনোখা কুলেপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন না। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনিং শেষ হলে কী ধরনের কাজ পড়বে, কতটা সময় লাগবে এসব পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে চাইছি না। পরিস্থিতি বোঝার পরই বলা যাবে কী সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। তবে স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষকদের অতিরিক্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব দিলে নিয়মিত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে ছোটদের মৌলিক শিক্ষায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে কালনার মহকুমা শাসক অহিংসা জৈন জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তিনি দেখবেন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
SIR: SIR-এর দায়িত্ব পড়লে ছুটি নিতে পারবেন শিক্ষকরা? পড়ুয়াদের ক্লাসই বা নেবেন কারা? চিন্তিত বিএলও-রা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল