একই পরিস্থিতির ছায়া দেখা যাচ্ছে কালনা ২ নম্বর ব্লকের আনোখা কুলেপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়েও। সেখানে মোট ৫৪ জন ছাত্রছাত্রীর জন্য রয়েছেন মাত্র দু’জন শিক্ষক। অথচ দু’জনকেই একসঙ্গে বিএলও-র দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ফলে একমাসের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়সীমায় সব প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে স্কুলের পাঠদান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
advertisement
এ প্রসঙ্গে কালনার পাঁচরখী বাণী বিদ্যামন্দির স্কুলের শিক্ষক শ্যামসুন্দর পাল বলেন, “বিদ্যালয়ের চারজনই বিএলও এর দায়িত্ব পেয়েছি। একজনও যদি অফ থাকত তাহলে তিনি অন্তত স্কুল চালাতে পারতেন। কিন্তু আমাদের অন ডিউটি থাকলেও স্কুল বন্ধ রাখা যাবে না। তবে আমার নিজস্ব মতামত পড়ুয়াদের পড়াশোনায় একটু হলেও প্রভাব পড়বে।” অভিভাবকদের মধ্যেও ইতিমধ্যেই ক্ষোভ বাড়ছে। তাঁদের কথায়, “আমরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাই পড়াশোনার জন্য। কিন্তু যদি শিক্ষকরা এসআইআর-এর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে ক্লাস নেবে কে? বাচ্চাদের পড়াশোনা নিয়ে তো আমরা চিন্তিত হবই।”
অন্যদিকে, আনোখা কুলেপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এখনই স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাইছেন না। তাঁদের বক্তব্য, ট্রেনিং শেষ হলে কী ধরনের কাজ পড়বে, কতটা সময় লাগবে এসব পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত মন্তব্য করতে চাইছি না। পরিস্থিতি বোঝার পরই বলা যাবে কী সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে। তবে স্থানীয় অভিভাবকরা মনে করছেন, শিক্ষকদের অতিরিক্ত প্রশাসনিক দায়িত্ব দিলে নিয়মিত ক্লাস চালানো অসম্ভব হয়ে যাবে। এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হবে ছোটদের মৌলিক শিক্ষায়। এই পরিস্থিতির মধ্যে কালনার মহকুমা শাসক অহিংসা জৈন জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তিনি দেখবেন।





