Roti Making Hacks: তৈরির সময় 'এই' ভুলেই চামড়া হয় রুটি! আর নয়, জানুন ছোট্ট কৌশল, রুটি হবে তুলতুলে নরম, পেটের সমস্যাও গায়েব

*রুটি খায় না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম, কারণ সাধারণত প্রায় প্রতিটি ঘরেই প্রতিদিন রুটি তৈরি হয়। কিন্তু রুটি তৈরির সময় কিছু ভুল হয়, এই ভুলের কারণে রুটি ভাল হয় না। তাই, যদি রুটি বানাতে চান, তাহলে এই ভুলগুলো করবেন না! যদি করেন, তাহলে অবশ্যই সেই রুটি ভাল হবেনা। জানেন কী রুটি তৈরিতে কোন কোন সাধারণ ভুলগুলো করা উচিত নয়?

*রুটিঃ প্রতিদিনের স্বাস্থ্যকর খাবারের তালিকায় বেশিরভাগ ভারতীয় বাড়িতে রুটি খাওয়ার চল রয়েছে। সকাল বা সন্ধ্যায় রুটি খাওয়া খুবই সাধারণ। এটি হালকা, হজম করা সহজ এবং শক্তিবর্ধক খাবার। কিন্তু রুটি তৈরির সময় কিছু ছোট ছোট ভুল খাবারের মান নষ্ট করতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে তৈরি করলে রুটি স্বাস্থ্যের জন্য ভাল উৎস হয়ে ওঠে।

*রুটি তৈরির সময় সাধারণ ভুল: রুটি তৈরির সময় অনেকেই অনিচ্ছাকৃতভাবে কিছু ভুল করে ফেলেন। ফলে খাবারের পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে এবং শরীরের ক্ষতি হতে পারে। ডায়েটিশিয়ান লাভলিন কৌরের মতে, রুটি তৈরির সময় মাল্টিগ্রেইন ময়দা, নন-স্টিক প্যান এবং অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল এড়িয়ে চলা উচিত।

*মাল্টিগ্রেইন ময়দা ব্যবহার এড়িয়ে চলুন: মাল্টিগ্রেইন ময়দা সম্প্রতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে বার্লি, গম, ওটস, বাদামী চাল এবং কিনোয়ার মতো বেশ কয়েকটি শস্যের মিশ্রণ রয়েছে। কিন্তু সব শস্য একই গতিতে হজম হয় না। এগুলো একসঙ্গে খেলে পাচনতন্ত্রের উপর অনেক চাপ পড়ে। ফলে, পুষ্টি উপাদান শরীর দ্বারা সঠিকভাবে শোষিত হয় না। গম বা একক শস্যের ময়দা দিয়ে তৈরি চাপাতি একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প।

*রুটি তৈরিতে নন-স্টিক প্যান ব্যবহার করা সহজ হলেও এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। নন-স্টিক প্যান রাসায়নিক পদার্থ দিয়ে তৈরি। দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহারের ফলে শরীরে বিষাক্ত প্রভাব পড়তে পারে। পরিবর্তে, লোহার প্যান ব্যবহার করা ভাল। এটি খাবারে আয়রনের পরিমাণ বাড়ায় এবং চাপাতির স্বাদও বাড়ায়।

*অনেক মানুষ আরেকটি ভুল করে থাকেন তা হল রুটি মাখার পরপরই রুটি রান্না করা। মাখার পর কমপক্ষে ১৫ মিনিট আটা রেখে দিন। এটি ময়দার গ্লুটেনকে স্থিতিশীল করে, রুটি নরম করে এবং ভাল ব্যাকটেরিয়া তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে তৈরি রুটি সহজে হজম হয় এবং শরীর সম্পূর্ণ পুষ্টি পায়।

*কিছু মানুষ রুটি সতেজ রাখার জন্য রুটি অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে মুড়ে রাখে। কিন্তু এটি স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক। অ্যালুমিনিয়াম তাপমাত্রার সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে এবং খাবারে দ্রবীভূত হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে, এটি ডিমেনশিয়া এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। পরিবর্তে, রুটি সাদা সুতির কাপড়ে মুড়িয়ে রাখা ভাল। এতে রুটি নরম এবং নিরাপদ রাখে।

*রুটি পাতলা করে গড়ে নেওয়ার সময়, এটির স্বাদ এবং মানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। খুব ঘন রুটি সঠিকভাবে রান্না হয় না এবং শক্ত হয়ে যায়। পাতলা করে গড়িয়ে নেওয়া রুটি দ্রুত রান্না হয়, হালকা হয় এবং খেতে সুস্বাদু হয়।

*সঠিকভাবে তৈরি রুটি শরীরের অনেক উপকার করে। এটি শক্তি দেয়, হজম উন্নত করে, রক্তে শর্করার মাত্রা ভারসাম্যপূর্ণ করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রনের একটি ভালো উৎস, রুটি আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকা আবশ্যক।

*রুটি তৈরির প্রতিটি ধাপে মনোযোগ দিলে, এটি স্বাস্থ্যের শক্তির কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে। নন-স্টিক প্যানের পরিবর্তে লোহার তাওয়া, অ্যালুমিনিয়ামের পরিবর্তে কাপড় এবং সঠিক বিশ্রামের পরে রান্না - এই তিনটি নীতি অনুসরণ করলে, আপনার রুটি একটি সত্যিকারের পুষ্টিকর খাবারে পরিণত হবে।