আরও পড়ুন: রিল ভিডিও বানিয়ে দেড় লক্ষ টাকা জেতার সুযোগ দিচ্ছে এনসিআরটিসি
অন্য জেলার পরিপ্রেক্ষিতে ফুটে উঠল বাঁকুড়া জেলার চিত্র। তবে সবচেয়ে অবাক লাগল দেখে যে, পুতুল নাচ নিয়ে এখনও যথেষ্ট উন্মাদনা সাধারণ মানুষের মধ্যে।এক সময় বাংলা গ্রামে গ্রামে চলা পুতুল নাচ বর্তমানে নেই তেমন কোনও রোজগার, এমনই মত পুতুলনাচ শিল্পী অমূল্য রায়ের। পাশাপাশি তার কথায় আগামী প্রজন্ম আসতে চাইছে না এই পেশায়। এর আগে ৫০ থেকে ৬০ টি পুতুল নাচের দল ছিল এখন হাতেগোনা ৩ থেকে ৪ টিও নেই।
advertisement
আরও পড়ুন: ৫ টাকা.., ১০ টাকা.., ১৫ টাকা..! পোশাক হাটে দেদার বিকোচ্ছে ‘পদ্মফুল’! নেটপাড়ায় ঝড়
মূলত অর্থের দিক থেকে পিছিয়ে যাচ্ছেন বলে জানাচ্ছেন শিল্পীরা। বলছেন, “আমাদের পর হয়ত বিলুপ্ত হয়ে যাবে এই পুতুল নাচ। ১২ বছর বয়স থেকে এই পুতুল নাচের সাথে যুক্ত এখন এই ঐতিহ্য শেষের মুখে।” অন্যদিকে স্থানীয় আয়োজকদের মতে তাঁরা ছোটবেলায় দেখতেন গ্রামে গঞ্জের পুতুল নাচ, এখন নতুন প্রজন্মের কাছে এই পুতুল নাচ তুলে ধরতে তারাও বুঝতে পারছে পুতুল নাচের মজা।
গ্রামেগঞ্জে, অভিনয়ের জন্য লোক পাওয়া একটি সমস্যা হয়ে যায়। আবার একটু সম্পূর্ণ দলকে রিহার্সাল করিয়ে কোনও নাটক কিংবা যাত্রা উপস্থাপনা করা যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ। সেই কারণে গ্রামে গঞ্জে পুতুল তৈরি করে হাতের সঙ্গে সুতো দিয়ে বেঁধে, পুতুল গুলিকে বিভিন্ন চরিত্রের ভূমিকায় দেখা যেত, এটাকেই বলে পুতুল নাচ।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী