আরও পড়ুন: : কাটোয়ায় পরিত্যক্ত বাড়িতে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! মৃত ১! তদন্তে পুলিশ
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তির সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। শীতকালে সেই সংখ্যা প্রায় ১৫ থেকে ২০ জনে গিয়ে দাঁড়ায়। তাঁদের মধ্যে পাঁচ থেকে ছয় জনের বয়স ৩০ থেকে ৪০-এর মধ্যে। এই সংখ্যাটা গত কয়েক বছরে অনেকটা বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। এত সংখ্যক রোগীর চিকিৎসা সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতালকে। কারণ এখনও পর্যন্ত জেলা হাসপাতালে কোনও কার্ডিওলজি বিভাগ নেই। মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরাই আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলাচ্ছেন। পাশের জেলা মালদা ও উত্তর দিনাজপুরে কার্ডিওলজিস্ট থাকলেও দুটি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থাকা দক্ষিণ দিনাজপুরে তা অধরা।
advertisement
এবিষয়ে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণেন্দু বিকাশ বাগ জানান, “কার্ডিওলজিস্ট নিয়োগ করতে গেলে মেডিকেল কলেজ থাকা জরুরি। জেলায় এখনও মেডিকেল কলেজ না থাকায় আমরা বিশেষজ্ঞ পাচ্ছি না। রাতে কম ঘুমোনো, বিশ্রাম কম নেওয়ার ফলে লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করলে দেখা যাবে সব উর্ধ্বমুখী। হার্ট অ্যাটাকের রিস্ক ফ্যাক্টর বেড়েছে। প্রেসার, কোলেস্টেরল, সুগার বাড়ছে। সেক্ষেত্রে জিমের পরিবর্তে সাধারণ শারীরিক পরিশ্রম, সকাল সন্ধ্যা হাঁটা দরকার। অ্যালকোহল ও বেশি কার্বোহাইড্রেট নেওয়া যাবে না। ৬০ বছরে সমস্যাগুলো এখন ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: জলের দরে বিক্রি হচ্ছে কাজুবাদাম! কোথায় যাচ্ছে তারপর? জানলে অবাক হবেন
সাধারণত, ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী নারী পুরুষদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের প্রবণতা। বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের ২৫ শতাংশই এই বয়সের বলে মত হাসপাতাল সুপারের। মূলত মেডিসিন স্পেশালিস্টরাই প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে হৃদরোগের চিকিৎসা করছেন। তবে, সেখানে হার্টের চিকিৎসকই নেই। বিষয়টি দুর্ভাগ্যজনক।মেডিকেল কলেজ না হওয়া পর্যন্ত কার্ডিওলজিস্ট পাওয়া যাবে না বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর।





