সূত্রের খবর রানাঘাটে খনিজ জ্বালানির অস্তিত্বের কথা জানা গিয়েছিল চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই। তারপর থেকে এ পর্যন্ত এই সংক্রান্ত কাজ কতটা এগিয়েছে কেন্দ্র কী কী পদক্ষেপ করেছে লোকসভায় মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চেয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সাংসদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন,”১৫ এপ্রিল রানাঘাটে খনিজ জ্বালানির অস্তিত্বের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু কতটা হাইড্রোকার্বন রানাঘাটের মাটির তলায় রয়েছে তা এখনও পরিমাপ করা যায়নি। মূল্যায়নের জন্য ২০২৭ সালের ৯ মে পর্যন্ত সময় রয়েছে। জমির মূল্যায়ন পর্যায়ের পর সেখানে হাইড্রোকার্বনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হবে। এখনও পর্যন্ত অনুসন্ধান যতদূর এগিয়েছে তার উপর ভিত্তি করে একটি উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রস্তুত করা হয়েছে। পাইপলাইন বসানো থেকে শুরু করে খনিজ উত্তোলনের জন্য পরিকাঠামোগত যা যা প্রয়োজন তার বন্দোবস্ত করা হচ্ছে।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
খনিজ তেল এবং গ্যাস সংক্রান্ত অনুসন্ধানের জন্য পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রয়োজন, রানাঘাটের ক্ষেত্রে সেগুলি জোগাড় করার কাজ শুরু হয়েছে জানিয়েছেন পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। তিনি আরও জানান, রানাঘাটে খনিজের উত্তোলন শুরু হলে পরিবেশের উপর তার কতটা প্রভাব পড়বে সে বিষয়ে একটি সমীক্ষা করা হবে। এবং তার পাশাপাশি স্থানীয় এলাকার বাসিন্দাদেরও মতামত নেওয়া হবে। প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র এবং সম্মতি পাওয়ার পরেই বিভিন্ন সংস্থার রানাঘাটে খনিজের অনুসন্ধানের কাজ শুরু করতে পারবে।
আরও পড়ুনঃ KKR News: সব জল্পনা জলে গেল! কে হচ্ছে কেকেআরের নতুন অধিনায়ক? বলে দিচ্ছে এই তথ্য
তবে বিষয়টি প্রকাশে আসতেই খুশি নদিয়া তথা বাংলার মানুষজন। কারণ অর্থনৈতিক কারণে পেট্রোলিয়ামকে বলা হয় তরল সোনা। আর যে কারণেই পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম সেরা ধনীদের তালিকা রয়েছে আরব আমিরশাহী । এবার পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ার রানাঘাটে সেই জ্বালানি তেলের খোঁজ নিশ্চিত হওয়ার পর স্বাভাবিক ভাবেই ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশাবাদী অনেকেই। তবে কি পরিমান কিংবা কতটুকু এলাকায় জুড়ে তা নিয়ে চলছে পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা।
Mainak Debnath