সোনালি রঙের কারুকার্য-সহ সোনালি বর্ণের বিশালাকৃতির মণ্ডপ গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৪ লক্ষ টাকা ব্যয় করে অত্যাধুনিক আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে মণ্ডপ সহ মণ্ডপ চত্বর।তাঁদের থিম ও আলোকসজ্জা এই বছরও দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে তুলছে বলে দাবি পুজো উদ্যোক্তাদের। পুজো কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের পুজো এই বছর ২২তম বর্ষে পদার্পণ করছে। দুর্গাপুরের বিগ বাজেটের অন্যান্য পুজো গুলির মত উর্বশী থিমের পুজো করলেও তাঁদের থিমে থাকে ব্যতিক্রমি অভিনবত্ব।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রশাসনের উদ্যোগে তৈরি পালনা থেকে উদ্ধার পুত্র সন্তান, চাঞ্চল্যকর ঘটনা মেদিনীপুর শহরে
এক টুকরো রাজস্থানে যেমন রাজস্থানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তুলতে মণ্ডপে হাজির করা হয়েছিল রাজস্থানি শিল্পীদের। ওই শিল্পীরা মণ্ডপ চত্বরে গান বাজনা সহ নৃত্য পরিবেশন করে দর্শনার্থীদের মনোরঞ্জন করছিল । তেমনটাই এবারও ওই পুজো কমিটি পাঞ্জাবের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন। পাঞ্জাবি গান বাজনা ও ভাংড়া নৃত্য পরিবেশন করতে পাঞ্জাব সহ স্থানীয় বেশকিছু শিল্পীরা এসেছেন এবার। পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা জানান, পুজোর মণ্ডপ সজ্জায় রাবে বারে ভিন রাজ্যের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।তাতে দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হন। যার কারণে প্রায় প্রতিবছরই সেরার শিরোপা পেয়ে থাকে ওই পুজো কমিটি।
পুজো কমিটির কনেভেনার দীলিপ কুমার ঘোষ ও কার্যকরী সভাপতি অমর মুখোপাধ্যায় জানান, এবার পুজোর বাজেট প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্পী মণ্ডপ গড়েছেন।মণ্ডপটি প্লাইউড দিয়ে তৈরী করা হয়েছে। মণ্ডপের অন্দরমহলে রয়েছে জমজমাট কারুকার্য। মণ্ডপের উচ্চতা প্রায় ৮০ ফুট। মণ্ডপ গড়ে উঠেছে ১২০ ফুট এলাকা জুড়ে। পাঞ্জাবের নৃত্যকলা, সঙ্গীতশাস্ত্র ও সংস্কৃতি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মণ্ডপ চত্বরে।এছাড়াও বাউল, লোকগীতি সহ বাংলা গানের অনুষ্ঠান প্রতিদিনই হচ্ছে।পুজোর নবমীতে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়। এবারও তাঁদের থিম সেরার শিরোপা পেয়েছে। এই দুর্গাপুরে প্যান্ডেল হপিং করতে এলে মিস করবেন না এই মন্ডপটি।