বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে লকেট বলেন, "নিজেদের ফান্ডগুলো মেলা-খেলায় দিচ্ছে। অথচ, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের টাকা দিচ্ছে না এই সরকার। টাকা দেবে না বলে, সুপ্রিম কোর্টে পর্যন্ত চলে যাচ্ছে। বাংলার মানুষ এর জবাব দেবে। রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা, যাঁরা এতদিন ধরে তাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, তাঁরা এখন বুঝতে পারছেন, এই সরকার গরিবের জন্য নয়। এই সরকার রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য নয়। এই সরকার নিজেরা শুধু তুষ্টিকরণের রাজনীতি করে। নিজেরা পকেট ভরাতে শুধু রাজনীতি করে।"
advertisement
আরও পড়ুন: পর পর দু'রাউন্ড গুলি, বুকে হাত দিয়ে গাড়িতে লুটিয়ে পড়লেন মন্ত্রী, প্রকাশ্যে ভিডিও
আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বর্ধমানে প্রশাসনিক সভা করতে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তৃণমূলনেত্রী সভা ঘিরে গোদার মাঠে এখন তুঙ্গে তৎপরতা। এই সভাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা অনেকে খরচের বহর নিয়ে প্রশ্নও তুলেছে। এ ব্যাপারে বিজেপি সংসদ বলেন, "বিধানসভা ভোটেও দেখা গিয়েছে, প্রত্যেকটা বিধানসভায় গিয়ে উনি সভা করেছেন। এগুলো শুধু আই ওয়াশ। মানুষ বুঝে গেছে প্রত্যেকবার এটাই হয়। লোকসভা এলে, বিধানসভা এলে, পঞ্চায়েত এলে এই ধরনের সভা হামেশাই করে থাকেন।" এরপরেই বিজেপি নেত্রীর দাবি, পঞ্চায়েত ভোট যদি ঠিক করে হয়, এর জবাব মানুষ দেবে।
লকেটের অভিযোগ, "সভায় বাচ্চাদের নিয়ে আসা হয়। দোকান বন্ধ করে প্রত্যেককে হুইপ জারি করা হয়। আশাকর্মীদের পর্যন্ত সবাইকে এখানে আসতে বাধ্য করা হয়। সাধারণ মানুষের উপরে ভরসা নাই। তাই জন্য টাকা দিয়ে সরকারি কর্মচারী থেকে শুরু করে সকলকে ধমক দিয়ে চমকে সভায় নিয়ে আসার চেষ্টা চলে।"
আরও পড়ুন: 'কোথায় যাচ্ছে মিড ডে মিলের এত টাকা?', কেন্দ্রীয় দল নিয়ে যা বললেন লকেট চট্টোপাধ্যায়
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ১ লক্ষ জন সমাগমের টার্গেট স্থির করেছে তৃণমূল। সভাস্থলে লোক আনার জন্য ব্লক প্রতি ২৫-৩০টি বাস দেওয়া হচ্ছে। বাস ভরানোর জন্য স্থানীয় স্তরে বৈঠকও ডেকেছেন বর্ধমানের তৃণমূল নেতৃত্ব।