পুরুলিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিল্প ছৌনৃত্য! এবং সেই নাচের সময় নৃত্যশিল্পীরা যে মুখোশগুলি পরেন সেই সব মুখোশ দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। এই মুখোশগুলি আনা হয়েছে পুরুলিয়ার মুখোশ গ্রাম থেকে! উদ্যোগী সৌরভ তিওয়ারি বলেন, “মুখোশগুলি পুরুলিয়ার মুখোশ গ্রাম থেকে নিয়ে এসেছি। সবাই হাতে হাত লাগিয়ে কাজ করছি। আমরা অনেকেই জানি না যে ছৌনৃত্য বাঁকুড়ার একটি অংশ।”
advertisement
অযোধ্যা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বাঘমুন্ডি ব্লকের চড়িদা গ্রাম। এই গ্রাম মুখোশ গ্রাম নামেই পরিচিত। এই গ্রামের মানুষদের রুটি রুজির উৎস মুখোশ। পদ্মশ্রী প্রাপ্ত ছৌশিল্পী গম্ভীর সিং মুড়ার বাড়ি এই গ্রামে। গ্রামের বেশিরভাগ বাড়িতেই মুখোশ তৈরি হয়। বাঁকুড়া শহরের সতীঘাটে রাম মন্দির এর বিপরীতে স্থানীয় কয়েকজনের উদ্যোগে এই সরস্বতী পুজো পদার্পণ করল পঞ্চম বর্ষে।
কোনও ক্লাব নয়! যারা সতীঘাটে আড্ডা দিতে আসেন, তাঁদের মধ্যে কেউ রয়েছেন চাকুরিজীবী, আবার কেউ ব্যবসায়ী সঙ্গে রয়েছে স্টুডেন্টও। একে অপরের হাতে হাত লাগিয়ে ছৌনৃত্যের মুখোশগুলিকে দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্যান্ডেল। মুখোশগুলি রং করে তৈরি করতে সহায়তা করেছেন চিত্রশিল্পী ইন্দ্রনীল চট্টোপাধ্যায়। বিদ্যার দেবী সরস্বতী। নৃত্য-সংগীত এই শিল্প কলা গুলিও এক ধরনের সৃজনশীল বিদ্যা। সে কারণে বিদ্যার দেবীকে আরাধনা করতে এইবার বেছে নেওয়া হয়েছে বাঁকুড়ায় এক অনন্য থিম।
শুধুমাত্র থিম নয়, পুরুলিয়ার গ্রামে গিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে প্যান্ডেলে লাগানোর মুখোশ। মুখোশগুলি কিনে নিয়ে এসে রং করে তৈরি করেছেন স্থানীয় শিল্পীরা এবং হাতে হাত লাগিয়ে সেই প্যান্ডেলের কাজ করছেন উদ্যোগী মানুষজন।





