পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম রাজু বর্মন ও সমীর নস্কর। মঙ্গলবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুর পুলিশ জেলার এসপি পলাশচন্দ্র ঢালি জানান, এটিএম থেকে টাকা তুলতে সাহায্য করার কথা বলে অভিনব প্রতারণার ছক সাজিয়েছিল ধৃতরা।
আরও পড়ুন- যেন অবিকল বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র! দোকানে বসেই মহিষাসুরমর্দিনী পাঠ জুতো বিক্রেতার
বিভিন্ন এলাকায় এটিএম কাউন্টারের বাইরে অপেক্ষা করত তারা। বয়স্ক লোকজন বা অন্য কেউ কাউন্টারে এসে টাকা তুলতে গিয়ে সমস্যায় পড়লে সাহায্য করতে এগিয়ে আসত তারা।
advertisement
এর পরই কায়দা করে আসল এটিএম কার্ড হাতিয়ে ধরিয়ে দিত নকল কার্ড। কয়েকবার চেষ্টা করে টাকা তুলতে না পেরে ফিরে যেত ওই ব্যক্তি। ততক্ষণে পিন জানা হয়ে যেত প্রতারকদের। এর পরই আসল কার্ড দিয়ে টাকা তুলে নিত তারা।
এভাবেই দিনের পর দিন প্রতারণা হচ্ছিল। বারুইপুর পুলিশ জেলার কয়েকটি থানায় একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্তে নেমে গোপন সূত্রে পুলিশ জানতে পারে, ওই দিন সোনারপুর এর ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় একটি এটিএমে প্রতারকেরা এসেছে। অভিযান চালিয়ে দুজনকে ধরে পুলিশ।
আরও পড়ুন- দীর্ঘদিনের দাবিপূরণ! অবশেষে মজুরি বাড়ল বিড়ি শ্রমিকদের! পুজোর আগে খুশির হাওয়া
ধৃতদের জেরা করে ঘটনার আরও তদন্ত করছে পুলিশ। এই দলে আর কে কে যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, কোন কোন এলাকায় প্রতারণার জাল ছড়িয়েছিল, তাও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া এটিএম কার্ড গুলি মালিকদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়া হবে বলা জানান এসপি।
সুমন সাহা