আরও পড়ুনঃ খেলতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা! চাদরের দোলনাতে গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যু ৯ বছরের মেয়ের
কর্নিয়া সংগ্রহের সংগঠন মরমীর শাখা হিসাবে কর্নিয়া সংগ্রহ করতে আসা অজয় দে আই কালেকশন সেন্টারের টেকনিশিয়ান রঘুনাথ কর্মকার, তারা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, এটা তাদের ১৩৮ তম সংগ্রহ, তবে এর আগে এত ছোট বয়সীকারোর মৃত্যুতে কর্নিয়া সংগৃহীত হয়নি। সুজয় এ পৃথিবীতে থাকলনা ঠিকই তবে তার মৃত্যুর পরেও এ দুটি কর্নিয়া দিয়ে দুজন দৃষ্টিহীন মানুষ দেখবে পৃথিবীর আলো।
advertisement
মৃতের পিতা সুফল কর্মকার পেশায় রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ করেন। অত্যন্ত অভাবী পরিবারের সন্তান বিয়োগে যে সময়ে কান্নায় লুটিয়ে পড়ার কথা সেই সময়ে চোখের জল কোনও রকমে সামলে নিয়ে জানালেন, \”আমার ছেলেকে তো ধরে রাখতে পারলাম না, ছেলেরদ্বারা অন্য কেউ পৃথিবীর রূপ দেখুক এতেই আমাদের অনাবিল আনন্দ। তাই মরণোত্তর চক্ষু দান করার প্রস্তাব পেয়ে তা আমরা সাদরে গ্রহণ করলাম।\” স্বাভাবিকভাবেই ছেলের মৃত্যুর পর বাবা-মায়ের এই মহান উদ্যোগে খুশি পরিবারসহ পাড়া-প্রতিবেশী সকলেই।
Mainak Debnath