রাস উৎসবে পরম্পরা ধর্মীয় আচার অনুযায়ী শুক্লপক্ষের উত্থান একাদশীর তারিখ থেকে পরপর আট দিন ভোর রাতে শ্রী শ্রী শ্যাম সুন্দর জিউ রাজবাড়ির মূল মন্দির থেকে নৌকা বিহারে কালীদহের ৫০০ মিটার লাবণ্যময় জল পরিক্রমণ করে ময়না রাস মন্দিরে প্রবেশ করেন। কেবল মাত্র পূর্ণিমার দিন সন্ধ্যা ছয়টার পর আবারও মন্দির থেকে রাস যাত্রা শুরু করেন। রাজবাড়ির কুল দেবতা শ্যাম সুন্দর। অন্যান্য জায়গায় পাঁচ দিনের রাসযাত্রা হলেও, ময়নাগড় রাজবাড়ির কুলো দেবতার আট দিনের রাসযাত্রা হয়। শেষ রাসযাত্রার বিকালে ঢাকঢোল কীর্তন, আতশবাজি, বাতাসা লুঠ সহযোগে রাস মন্দির থেকে নৌকা বিহারে রাজবাড়ির মূল মন্দিরে প্রত্যাবর্তন হয়।
advertisement
ঠাকুরের নৌকাবিহার বন্ধ হলেও মেলা চলবে আরও কিছুদিন। এ বিষয়ে রাজবাড়ির সদস্য স্বরূপানন্দ বাহুবলীন্দ্র জানান, ময়নাগড় রাজবাড়ির কুলদেবতার রাসযাত্রার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নৈশ্যরাস। সুসজ্জিত নৌকায় লাবণ্যময় পরিখার জলে নৌকো বিহার করে কুলদেবতা” প্রাচীন ময়নাগড় রাজবাড়ির কুলদেবতা শ্যামসুন্দর জিওর এই রাসের অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল নৈশ রাস ও নৌবিহার। প্রতিদিন ভোররাতে সুসজ্জিত নৌকায় করে কলিয়াদহ পরিখার জলে নৌ বিহার করে রাস মঞ্চে আসেন। ভোর রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত রাস মঞ্চে থেকে দেবতার পুজো পাঠ ও বিভিন্ন রীতিনীতি পালন করা হয়। এই রাস যাত্রা উপলক্ষে ময়নায় ১৭ দিনব্যাপী রাস মেলা বসে। ময়নার রাস মেলার অন্যতম আকর্ষণ থালার মত বড় বড় বাতাসা ও ফুটবলের মত কদমা মিষ্টি।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ময়নাগড় রাজ উৎসব জেলাতে তারা রাজ্যের অন্যতম প্রাচীন একটি মেলা।
এই মেলার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল স্থানীয় হস্তশিল্প ও লোকশিল্পকে প্রাধান্য দেওয়া। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন ও বৃহত্তম রাস মেলা শুধু ময়নাবাসী নয়, জেলার অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী পশ্চিম মেদিনীপুরের লোকেরাও সারা বছরে অপেক্ষা করে থাকেন। আধ্যাত্মিকতা ও রাসযাত্রার পার্থিব অপার্থিব সুন্দরের মেলবন্ধন নবদ্বীপ রাসযাত্রার পর ময়নাগড়ের রাসযাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।





