TRENDING:

East Medinipur News: রাইটার্স থেকে নবান্ন! সব জায়গায় সমাদৃত পাঁশকুড়ার এই দোকানের চপ

Last Updated:

East Medinipur News: পাঁশকুড়ার বহু চপ বিক্রেতা তার কাছে আসেন চপ তৈরির উপায় জানার জন্য। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ পাঁশকুড়ার চেয়ারপার্সন নন্দকুমার মিশ্র খেয়েছেন এখানে চপ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পাঁশকুড়া: শীত গ্রীষ্ম সব বর্ষা বাঙালির তেলেভাজা ছাড়া চলে না! বর্তমান হেলথ কনসাস যুগেও চপ ভালবাসে না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল! বর্ষা কিংবা শীতের দিনে চপ সহযোগে সান্ধ্যকালীন টিফিন বাঙালির নস্টালজিয়া। কিন্তু চপ এর ক্ষেত্রে যদি হয় পাঁশকুড়ার চপ, তাহলে তো আর কথাই নেই। সুস্বাদুর জন্য বিখ্যাত পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়ার চপ। রাজ্যের জেলায় জেলায় দেখা যায় পাঁশকুড়ার চপের নামে চলছে দোকান। শুধু রাজ্যে নয়, ভিন রাজ্যেও পাঁশকুড়া চপের কদর রয়েছে। কিন্তু জানেন কী পাঁশকুড়ার একটি দোকানের চপ রাইটার্স থেকে নবান্ন, সব জায়গায় সমাদৃত।
advertisement

নতুন প্রজন্ম কাটলেটে মজে থাকলেও চপ নামক বাংলার এই খাদ্যবস্তুটি কাটলেটকে ভুলিয়ে দেওয়ারও ক্ষমতা রাখে, সে বিষয়ে সবাই একমত। আর ভারতে সর্বপ্রথম চপের আবিষ্কার ঘটে মেদিনীপুরের মাটিতেই। অবিভক্ত মেদিনীপুরের পাঁশকুড়াতেই প্রথম তৈরি হয় এই জনপ্রিয় খাবারটি। সারা বাংলা জুড়ে এই চপ দোকানের সংখ্যা নেহাতই কম নয়। পাঁশকুড়াতেই রয়েছে বহু চপের দোকান। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের গুমাই কালীমন্দির সামনে চপের দোকান বিখ্যাত হয়েছে।

advertisement

প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে চপ বিক্রি করা জগন্নাথ দণ্ডপাট জানান, ‘বাড়ির পাশে এক ব্যক্তি রাইটার্সের চাকরি করতেন, তিনি একবার অফিসে চপ নিয়ে যান। তারপর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই চপ যেত রাইটার্সে। বর্তমানে সেই ব্যক্তি নবান্নের কর্মরত, সেখানেও মাঝেমাঝে চপ নিয়ে যায়। পাঁশকুড়ার বহু চপ বিক্রেতা তাঁর কাছে আসেন, চপ তৈরির উপায় জানার জন্য। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র-সহ পাঁশকুড়ার চেয়ারপারসন নন্দকুমার মিশ্রের পাশাপাশি এমন কী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী খেয়েছেন। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম কিছুটা বাড়াতে হয়েছে। কিন্তু চপের স্বাদের সঙ্গে কোনওদিন আপোষ করেন না।’

advertisement

বাস রাস্তার পাশে ত্রিপলের ছাউনির নিচে কাঠের আগুনে গরম গরম ভাজা চপ খেতে প্রতিদিন সন্ধ্যেবেলা বহু মানুষ ভিড় করে। পাঁশকুড়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা জগন্নাথ দণ্ডপাট পাঁশকুড়া হলদিয়া রাজ্য সড়কের পাশেই প্রতিদিন সন্ধে পাঁচটার পর থেকেই চপের দোকান দেন। প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে তিনি এই চপের দোকান চালিয়ে যাচ্ছেন।

advertisement

View More

প্রতিদিন সন্ধ্যা পাঁচটা থেকে রাত্রি ৯টা পর্যন্ত চলে দোকান। প্রতিদিন গড়ে ৬০০ থেকে ৭০০ পিস চপ ভাজা হয় দোকানে। সারা পাঁশকুড়ায় জগন্নাথের চপ নামে বিখ্যাত। তাঁর চপের স্বাদ গ্রহণ করেছেন নেতা মন্ত্রী-সহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি আধিকারিকেরা। এমন কী তাঁর চপের যাতায়াত রায়টার্স থেকে নবান্ন পর্যন্ত।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
লন্ডন এবার পুরুলিয়ায়! ১-২ রকম নয় পাওয়া যাচ্ছে ২৫ রকমের কেক-পেস্ট্রি
আরও দেখুন

সৈকত শী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
East Medinipur News: রাইটার্স থেকে নবান্ন! সব জায়গায় সমাদৃত পাঁশকুড়ার এই দোকানের চপ
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল