এই নৃশংস ও জঘন্যতম হত্যার ঘটনাটি ঘটেছিল ৪ নভেম্বর ২০২১ সালে, নায়াগ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওইদিন সকাল ১০টা থেকে পাঁচ বছরের শিশুকন্যা বাড়ি থেকে নিখোঁজ ছিল। ৫ নভেম্বর পরিবারের পক্ষ থেকে নয়াগ্রাম থানায় গ্রামেরই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ করার অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে ঘটনার দিন অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশুকন্যাকে নিয়ে গ্রামের একটি মুদি দোকানে যায়। সেখান থেকে চকোলেট এবং বিড়ি কেনে। তারপর সেখান থেকে আরও একজনের বাড়িতে গিয়ে তামাক খায়। এছাড়াও পুলিশ গ্রামের আরও কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারে অভিযুক্ত ওই শিশুকে সঙ্গে নিয়ে মাঠের দিকে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: জমিতে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে বিবাদ, বারুইপুরে কাকার সঙ্গে এ কী করলেন ভাইপো! শোকের ছায়া
পুলিশ এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করার পরেই ৭ নভেম্বর এক যুবককে গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণ ও খুনের কথা স্বীকার করে এবং জানায় তার সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ছিল আরও একজন। পুলিশ এরপর তাকেও ওই দিন গ্রেফতার করে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ঘটনার দিন ওই যুবক আগের থেকেই গ্রামের জঙ্গল লাগোয়া জমিতে অপেক্ষা করছিল। মেয়েটিকে চকোলেটের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে আসে সেখানে। এরপর দু’জনে মিলে তাকে ধর্ষণ করার পর শ্বাসরোধ করে খুন করে মৃতদেহ জমির পাশের আলে লুকিয়ে রাখে।
পুলিশ ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে উদ্ধার করে মৃতদেহটি। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে ময়নাতদন্ত করানো হয়েছিল। ওই বছর ৩০ ডিসেম্বর পকসো আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। সাক্ষ্য গ্রহণ পর্ব শেষে বুধবার ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।
আরও পড়ুন: শ্যুটে দৌড়ঝাঁপ, সিঁড়ি ভাঙার পরেই বুকে ব্যথা সৃজিতের! হার্ট চেকআপের পর কী জানালেন পরিচালক
স্পেশ্যাল পাবলিক প্রসিকিউটর পকসো কোর্ট শুভাশিস দ্বিবেদি সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেছেন, ‘‘নাবালিকাকে অপহরণ করে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন পকসো আদালতের বিচারক। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ আদালতে চার্জ গঠন হয়। ওই বছর ৬ জুন থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। চিকিৎসক, পুলিশ, ম্যাজিস্ট্রেট সহ মোট ৩০ জন সাক্ষ্য দেন। মঙ্গলবার অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করে আদালত।’’
রাজু সিং