এ বার সেই দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দিতে এ রাজ্যের মোট ৮টি স্টেশনে জেনারেল কোচের সামনে এই ‘ইকোনমি মিল’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে জায়গায় জেনারেল কোচ দাঁড়াবে সেই জায়গাতেই থাকবে খাবারের ব্যবস্থা। পূর্ব রেলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী শিয়ালদহ-সহ এ রাজ্যের মোট 8টি স্টেশনে জেনারেল কোচের সামনে এই ‘ইকোনমি মিল’-র ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে যে স্টেশনে জেনারেল কামরার যাত্রীরা ইকোনমি মিল পাবেন সেগুলি হল-শিয়ালদহ, আসানসোল, দুর্গাপুর, খড়গপুর, হিজলি, রামপুরহাট, নিউ কোচবিহার ও নিউ আলিপুরদুয়ার।
advertisement
আরও পড়ুনঃ দৈনিক বেতন প্রায় ৪ লক্ষ টাকা! আসানসোলের এই ব্যক্তি টাটা স্টিলের ‘বাবুমশাই’, চিনে নিন তাঁকে…
রেলের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ২০ টাকার ‘ইকোনমি মিল’-এ দেওয়া হবে সাতটি পুরী/কচুরি (১৭৫ গ্রাম) সঙ্গে আলুর তরকারি (১৫০ গ্রাম) ও আচার ১২ গ্রাম। তার সঙ্গে ৩ টাকা দিলে মিলবে ২০০ মিলিলিটার জল। এ ছাড়া, দেওয়া হবে ৫০ টাকার কম্বো। সেই কম্বোতে থাকবে রাজমা, ছোলে-রাইস, খিচুড়ি, ছোলা -বাটুরে, পাও-ভাজি ও মশলা ধোসা। এ গুলির ওজন হবে ৩৫০ গ্রাম। ৫০ টাকা খরচ করে এই পদের মধ্যে যে কোনও একটি পদ নিতে পারবেন যাত্রীরা। রেলের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে এই চার্জ GST -সহ।
দুঃখের বিষয় এটাই যে এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে বাঁকুড়া জংশন। প্রতিদিন বহু মানুষের যাতায়াত বাঁকুড়া থেকে। যদিও কেন বাঁকুড়া জংশনে নেই সেই বিষয়ে কোনো অফিসিয়াল তথ্য পাওয়া যায়নি। বাঁকুড়ার স্থানীয় অমলরাজ ব্যানার্জী প্রতিদিন সকালে রানি শিরোমণিতে করে হাওড়া যাতায়াত করেন। তিনি জানান, “বহু মানুষ রোজ দূর দূরান্ত থেকে যাতায়াত করেন, খাবারের খুব সমস্যা। এত সুন্দর ‘ইকোনমি মিল’ চালু হলে ভাল হত।”
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী