স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মধ্যরাতে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুন বিবির বাড়ির উপর আচমকাই ছিঁড়ে পড়ে হাইভোল্টেজ বিদ্যুতের তার। বিদ্যুতের স্পর্শে মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা ঘরে। পরিবারটি ঘুমিয়ে থাকায় আগুন টের পেতে কিছুটা সময় লেগে যায়, কিন্তু ততক্ষণে আগুন লেগে দাউদাউ করে জ্বলে উঠেছে বিভিন্ন আসবাব।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবা ক্যানসার রোগী,মা সেলাইকর্মী…ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৩.৪%! সাফল্যের স্বপ্নে অবিচল সাগর
পরিবারের সদস্যরা প্রাণে কোনওরকমে রক্ষা পেলেও ঘরের ভিতরে থাকা নগদ কুড়ি হাজার টাকা, মূল্যবান আসবাবপত্র, জামাকাপড়, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র – সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ভস্মীভূত হয় সিরাজুন বিবির বহু বছরের সাজানো সংসার। প্রাথমিকভাবে পরিবারটি জানিয়েছে, অন্তত এক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের ড্রোন, আতঙ্কে হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামের বাসিন্দারা
ঘটনার পরপরই স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু হাইভোল্টেজ লাইনের কারণে কেউ ঘরের খুব কাছে যেতে সাহস পাননি। যদিও স্থানীয়রা জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করলেও তাতে রক্ষা হয়নি। আগুনে সমস্ত কিছুই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। গ্রামবাসীরা বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাঁদের দাবি, বহুদিন ধরেই এলাকায় বিদ্যুতের তারগুলো ঝুলে ছিল। এই দুর্ঘটনার পরে প্রশ্ন উঠছে, এই ধরনের প্রাণঘাতী বিদ্যুৎ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক হচ্ছে তো? গ্রামের বিদ্যুৎ পরিকাঠামো কতটা নিরাপদ? গ্রামবাসীরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছেন দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়া ও ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ লাইনের সংস্কার করার। পাশাপাশি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও জরুরি হয়ে পড়েছে।