পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ১১: ১৫ নাগাদ ছোট ছেলে ছোট্টু মণ্ডল পেটে যন্ত্রণা নিয়ে তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার সঙ্গে ছিলেন মা সোমা মণ্ডল ও বাবা উৎপল মণ্ডল। তার স্ত্রী সোমা মণ্ডল হাসপাতালে থেকে যান। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন শুধুমাত্র উৎপলের পুত্রবধূ নিশা মণ্ডল। ঠিক ওই সময়েই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল তৃতীয় শ্রেণীর মৃত শিশু।
advertisement
নিহত শিশুর বাড়ি ও উৎপলের বাড়ি পাশাপাশি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান নিহত শিশু থেকে বেরোতেই রাস্তা থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে যায় অভিযুক্ত উৎপল। সেখানে মুখ বেঁধে তাকে আটকে রাখা হয়। এছাড়াও উৎপলের পুত্রবধূ অন্তঃসত্ত্বা। তিনি শিশুদের ভাল বাসতেন। তিনি বাড়িতে একা থাকায় ওই শিশুকে বাড়ি ডাকতেও পারেন। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে তিনটে নাগাদ উৎপলের ছোট ছেলের শাশুড়ি জামাইকে হাসপাতালে দেখতে যাওয়ার জন্য উৎপলকে টোটো ভাড়ার জন্য ফোন করেন। কিন্তু ভাড়া আছে বলে এড়িয়ে যায় উৎপল। কিন্তু ওইসময় টৌটো নিয়ে ভাড়ায় নিয়ে যায়নি অভিযুক্ত, বাড়িতেই ছিলেন। সন্ধ্যা নাগাদ পুনরায় ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যান তিনি।
সেই সময় ওই ছাত্রের খোঁজ শুরু করে পরিবারের লোকজন। আটটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে আসেন উৎপল ও তার স্ত্রী। সেই সময় নিখোঁজ ছাত্রের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে এলাকাবাসী। যদিও তাদের কোনও হেলদোল ছিল না। পুলিশের অনুমান ভয় পেয়ে গিয়ে শ্বাসরোধ করে ছাত্রকে খুন করা হয়। এরপর গভীর রাতে বাড়ির পিছনের ডোবাতে শিশুর দেহ ফেলে দেয় অভিযুক্ত উৎপল।