স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ছিল শিক্ষক দিবস। কিন্তু শুক্রবার ছুটি থাকার কারণেই শনিবার স্কুলে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই সময় অষ্টম এবং দ্বাদশ শ্রেণী ছাত্রদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কারা আগে বসবেন এই নিয়ে শুরু হয় প্রথমে বচসা। আর সেই বচসার জেরেই দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। পরে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পাল্টা পরে গ্রামবাসীদের একাংশ মারধর শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের। এই ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ আটক করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাতসকালে মর্মান্তিক ঘটনা, উদ্ধার বালি ব্যবসায়ীর দেহ! ব্যবসায়িক গণ্ডগোল না অন্যকিছু! তদন্তে পুলিশ
মুর্শিদাবাদের ওই গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “স্কুলে ছাত্রদের পড়তে পাঠানো হয়। কিন্তু স্কুলের মধ্যে শিক্ষক দিবসকে কেন্দ্র এত বড় ঘটনা ঘটবে তা আমরা কল্পনা করতে পারিনি। এই ঘটনার সঙ্গে যে ছাত্র পড়ুয়ারা যুক্ত তাদেরকে পুলিশ চিহ্নিত করুক।” আহত ছাত্ররা জানিয়েছেন, “শিক্ষক দিবসের দিনে ছোট্ট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আমাদেরকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা এসে মারধর করে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ জানিয়েছে, আহতদের উদ্ধার করে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে শুরু হয় গ্রাম্য বিবাদ। বিবাদ বাঁধে নওদা পাড়া ও লালনগরের মধ্যে। কিছুক্ষণের জন্য নৌ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।