বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা ছিলেন। তবে সম্প্রতি শিক্ষক অবসর নেওয়ায় পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে শিক্ষিকা মধুমিতা সাহার কাঁধে। স্বাভাবিকভাবে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনা এবং জঙ্গলমহলে শিক্ষার বিস্তারে তিনি কমতি রাখতে চান না। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানা গিয়েছে, দ্রুত অপর এক শিক্ষক পাঠানো হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে স্বস্তির খবর! স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঘাটাল, এখন কেমন অবস্থা? ছবিতে দেখুন
পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রান্তিক আদিবাসী অধ্যুষিত সদর উত্তর চক্রের অধীন শালবনি ব্লকের হীরাডিহী পাথরচাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৬। তবে গোটা স্কুল সামলাচ্ছেন একজনই। তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর ঘাড়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় পাঁচটি ক্লাসের দায়িত্ব। স্কুলের অফিশিয়াল কাজ থেকে মিড ডে মিলের তদারকি কিংবা পড়াশোনা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মধুমিতা সাহা।
সরকারি নিয়ম মোতাবেক ৩০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী থাকলে সেই স্কুলে দু’জন শিক্ষক প্রয়োজন। এই বিদ্যালয়েও দু’জন ছিলেন। তবে একজনের অবসরের পর গোটা দায়িত্ব এসে পড়েছে শিক্ষিকার কাঁধে। পিছিয়ে পড়া এলাকায় পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের বিষয়টি দায়িত্ব সহকারে সামলান তিনি। তাই বিদ্যালয়ের ছুটিই নেন না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যদিও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুখবর শুনিয়েছেন। দ্রুত স্কুলে নিয়োগ হবে। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবে শিক্ষা সংসদ ও প্রশাসন। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এলাকায় একাই একশো এই দিদিমণি। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর দায়িত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।