TRENDING:

স্কুলে পড়ানো থেকে মিড ডে মিল তদারকি, একা করেন সব! বাস্তবের 'দশভূজা' জঙ্গলমহলের এই শিক্ষিকা

Last Updated:

Teachers Day 2025: জঙ্গলমহলের প্রান্তিক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব তাঁর একার কাঁধে। ক্লাস সামলানো থেকে মিড ডে মিলের বাজার সবেতেই ভরসা এই দিদিমণি

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শালবনী, পশ্চিম মেদিনীপুর, রঞ্জন চন্দঃ বিদ্যালয়ের তিনি একাই সব। তিনি পড়ান, তিনিই আবার মিড ডে মিলের তদারকি করেন। এই শিক্ষিকা যেন ‘দশভূজা’। প্রত্যন্ত আদিবাসী অধ্যুষিত জঙ্গলমহলের প্রান্তিক এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব তাঁর একার কাঁধে। ক্লাস সামলানো থেকে মিড ডে মিলের বাজার সবেতেই ভরসা ‘দিদিমণি’। তিনি ছুটি নিলে বন্ধ রাখতে হবে বিদ্যালয়, ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে স্কুল বন্ধ করেন না তিনি।
advertisement

বিদ্যালয়ে একজন শিক্ষক ও একজন শিক্ষিকা ছিলেন। তবে সম্প্রতি শিক্ষক অবসর নেওয়ায় পুরো দায়িত্ব এসে পড়েছে শিক্ষিকা মধুমিতা সাহার কাঁধে। স্বাভাবিকভাবে হিমশিম খেতে হয় তাঁকে। তবে পড়ুয়াদের পড়াশোনা এবং জঙ্গলমহলে শিক্ষার বিস্তারে তিনি কমতি রাখতে চান না। যদিও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে জানা গিয়েছে, দ্রুত অপর এক শিক্ষক পাঠানো হবে।

advertisement

আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে স্বস্তির খবর! স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঘাটাল, এখন কেমন অবস্থা? ছবিতে দেখুন

পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলের প্রান্তিক আদিবাসী অধ্যুষিত সদর উত্তর চক্রের অধীন শালবনি ব্লকের হীরাডিহী পাথরচাটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৩৬। তবে গোটা স্কুল সামলাচ্ছেন একজনই। তিনি স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা। তাঁর ঘাড়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত প্রায় পাঁচটি ক্লাসের দায়িত্ব। স্কুলের অফিশিয়াল কাজ থেকে মিড ডে মিলের তদারকি কিংবা পড়াশোনা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মধুমিতা সাহা।

advertisement

View More

সরকারি নিয়ম মোতাবেক ৩০ জনের বেশি ছাত্রছাত্রী থাকলে সেই স্কুলে দু’জন শিক্ষক প্রয়োজন। এই বিদ্যালয়েও দু’জন ছিলেন। তবে একজনের অবসরের পর গোটা দায়িত্ব এসে পড়েছে শিক্ষিকার কাঁধে। পিছিয়ে পড়া এলাকায় পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের বিষয়টি দায়িত্ব সহকারে সামলান তিনি। তাই বিদ্যালয়ের ছুটিই নেন না।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুজো শেষ হতেই ঝাঁকে ঝাঁকে পদ্মার ইলিশ! জলের দরে টাটকা মাছ না খেলেই নয়
আরও দেখুন

যদিও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান সুখবর শুনিয়েছেন। দ্রুত স্কুলে নিয়োগ হবে। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান করবে শিক্ষা সংসদ ও প্রশাসন। তবে প্রত্যন্ত জঙ্গলমহল অধ্যুষিত এলাকায় একাই একশো এই দিদিমণি। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর দায়িত্বকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সকলে।

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
স্কুলে পড়ানো থেকে মিড ডে মিল তদারকি, একা করেন সব! বাস্তবের 'দশভূজা' জঙ্গলমহলের এই শিক্ষিকা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল