কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক স্কুলেই পড়ুয়াদের হাজিরা বেশ কম। নানা কারণে পড়ুয়াদের অনেকেই আর স্কুলে না যাওয়ার পাকাপাকি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। অনেকে স্কুল ছেড়ে রোজগারের পথে পা বাড়িয়েছে। কেউ কেউ পড়াশোনা ছেড়ে সংসার চালাতে পরিবারের সদস্যদের সাহায্যে মনোনিবেশ করেছে। সেইসব পড়ুয়াদের বুঝিয়ে ফের শিক্ষার আঙিনায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman: গাড়িতে আগ্নেয়াস্ত্র, বাড়িতে বোমা, কোথা থেকে এলো এতো কিছু!
এবার গান গেয়ে সেইসব পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলে যাওয়ার (school reopenes)) কথা বললেন বর্ধমানের শক্তিগড়ের বড়শুলের সফদার হাসমি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ছিলেন বর্ধমান উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক নিশিথ মালিক, বর্ধমান-২ এর বিডিও (BDO) সর্বাণী মজুমদার, স্কুল শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। এর আগে কালনা, কাটোয়ায় শিক্ষক শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের বাড়ি বাড়ি গেলেও বিডিও এবং বিধায়ককে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে পথে নামতে দেখা যায়নি।
শিক্ষকরা বলছেন, পড়ুয়াদের স্কুলে না আসার নানান কারণ সামনে আসছে। করোনার ভয় তো আছেই, তবে সবথেকে বড় কারণ দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ থাকা। অনেকেই স্কুলে না গিয়ে অন্য কাজে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা আর স্কুলে যেতে পারছে না। তাদের ফের নিয়মিত স্কুলে আসার অভ্যাস তৈরি করাই এখন সবচেয়ে আগে জরুরি।
আরও পড়ুন - Purba Bardhaman: বেপরোয়া লরির ধাক্কায় বাইক আরোহীর মৃত্যু, রাজ্য সড়কে তুলকালাম
বিধায়ক জানান, করোনার ভয়ে অনেকে স্কুলে যাচ্ছে না। ক্লাস করছে না। তবে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছে। অভিভাবকদের বোঝানো হয়েছে তাঁরা যাতে ভয় না পান। করোনা বিধি মেনেই স্কুলে পঠন পাঠন হচ্ছে- সে কথা পড়ুয়াদেরও বোঝানো হয়েছে। বিডিও জানান, কেউ যেন স্কুলছুট হয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে চাইছি আমরা। তার জন্য এদিন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সকলকে বোঝানো হয়। যাতে তারা স্কুলে যায় সেই আবেদন রাখা হয়। তাতে সদর্থক সাড়া মিলছে। পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠাতে অনেক অভিভাবকই সম্মত হয়েছেন।
Saradindu Ghosh