এই ভুয়ো নিয়োগপত্রের আড়ালে বড়সড় দুর্নীতি চক্র সক্রিয় বলে মত শিক্ষা সংসদের। অন্যদিকে এক ভুয়ো চাকরিপ্রার্থীর পরিবারের দাবি, টাকার বিনিময়ে তাঁকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে কেউ এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছে। তাঁরা প্রতারণার শিকার। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ ও স্কুল শিক্ষা দফতর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: ‘শিশির অধিকারীর হাত ধরেই পালাবদল হয়েছিল রাজনীতিতে’, সম্পত্তি বৃদ্ধি ইস্যুতে তৃণমূলকে জবাব বিজেপির
গত ১৬ অক্টোবর পাথরপ্রতিমার মহেশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগ দিতে আসেন স্থানীয় কাশীনগরের বাসিন্দা উৎপল দাস। তাঁর নিয়োগপত্র দেখে সন্দেহ হয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিবাশিস করের। তিনি স্থানীয় স্কুল ইনস্পেক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে জানতে পারেন নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। পরে ওই চাকরিপ্রার্থী আর যোগাযোগ করেননি।
আরও পড়ুন: নিয়োগ দুর্নীতি! ৯৪ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল, সরকার ও শাসকদলকে তীব্র নিশানা বঙ্গ বিজেপির
জেলার সোনারপুর, বাসন্তী ও পাথরপ্রতিমায় এই চারটি ভুয়ো নিয়োগপত্র প্রকাশ্যে এসেছে। পাথরপ্রতিমার কাশীনগর গ্রামের ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে স্কুলে যোগ দিতে যাওয়া উৎপল দাসকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর বাবা ও মা জানিয়েছেন, তাঁদের ছেলেকে এই ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে কেউ ফাঁসিয়েছে। টাকার বিনিময়েও এই নিয়োগপত্র দেওয়ার আশঙ্কা করেছেন তাঁরা। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অজিত নায়েক জানিয়েছেন, ”জেলায় এরকম চারটি ভুয়ো নিয়োগপত্র সামনে এসেছে। কোন অসাধু চক্র এই কাজ করছে। আমরা স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জানিয়েছি। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চলেছি।”