চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 Parganas) উস্তি থানা এলাকায়৷ ধৃত শিক্ষকের নাম আমানুল্লা মোল্লা (১৯)৷ পুলিশ সূত্রে খবর, উত্ত মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিল ওই যুবক৷ আর সেই কারণেই নিজের ছাত্রকেই অপহরণের ছক কষে সে৷ ফোনে ৭ লক্ষ টাকা মুক্তিপণও চাওয়া হয়৷ অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানান ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিয়ের ২ বছরের মধ্যে হয়নি সন্তান, এই 'অপরাধ'-এ গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
গত ৯ তারিখ উস্তি থানা এলাকার সংগ্রামপুরের বাসিন্দা পেশায় দর্জি হান্নান আকনের ছ' বছরের ছেলে বাড়ির কাছেই আমানুল্লা মোস্সা নামে ওই যুবকের কাছে পড়তে গিয়েছিল৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের পরেও সে বাড়ি ফেরেনি৷ পরিবারের লোকজন ওই গৃহশিক্ষককে ফোন করলে সে জানায়, পড়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছে ওই ছাত্র৷ রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজির পর উস্তি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে ওই ছাত্রের পরিবার।
আরও পড়ুন: ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রকে ব্য়াপক মারধর করলেন শিক্ষক, কী ঘটল তারপর? শুনলে শিউরে উঠবেন...
ছাত্র উদ্ধারে তদন্তে নেমে দু'টি দল গঠন করে পুলিশ৷ ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন দে ও উস্তি থানার ওসি লিটন রক্ষিত দু'টি দলের নেতৃত্বে ছিলেন৷ প্রথমে আক্তার নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুিলশ৷ তাকে জেরা করে আরও দু' জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পরেই ক্যানিং এলাকার নদীর ধারের এক বাড়ি থেকে ওই ছাত্রকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ধৃতদের জেরা করেই এর পর বেরিয়ে আসে আসল তথ্য৷ ধৃতরা জানায়, ছাত্র অপরহণের মূল চক্রী আমানুল্লা মোল্লা নামে ওই গৃহশিক্ষকই৷ ঘটনার দিন সে নিজেই ওই ছাত্রকে অপহরণকারীদের বাইকে তুলে দিয়েছিল বলেও জেরায় উঠে আসে৷ অথচ তদন্ত চলাকালীন আগাগোড়া ওই শিক্ষক পরিবারের সঙ্গে ছিল৷ ছাত্রের চিন্তায় কান্নাকাটিও করতে দেখা গিয়েছিল তাকে৷ শেষ পর্যন্ত অবশ্য পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে৷ জানা গিয়েছে, নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন ছিল ওই শিক্ষকের৷ সেই কারণে নিজের ছাত্রকেই অপহরণের ছক কষেছিল সে!
Arpan Mondal