খাওয়া দাওয়ার ফিউশন বললে বিভিন্ন নামিদামি রেস্তোরাঁর ফিউশন খাবারের কথা মনে আসে। তবে বাঙালির সব থেকে প্রিয় চপ-তেলেভাজার ফিউশন কখনও হবে ভেবে দেখেছিলেন!
ঠিক এমনই বিদেশি বিদেশি স্ন্যাকস এর সঙ্গে দেশীয় চপ মিশে তৈরি হচ্ছে ফিউশন তেলেভাজা। যেখানে বেগুনি হয়েছে বেগুনবাহারি, কিংবা কোরিয়ান চিকেন ডাক রোল বা জাপানি ক্যান্ডি!
আরও পড়ুন- বিয়ের পরে মোটা হয়ে যায় মেয়েরা! জানেন এর পিছনের আসল সত্যি?
advertisement
প্রতিদিন সন্ধ্যা নামলেই মৌমাছির মতো ভিড় জমে যায় দোকানের সামনে। হুগলির কোন্নগরের শকুন্তলা কালী মন্দিরের পাশেই রয়েছে এই তেলেভাজার দোকান।
দোকানের নাম আবার বাঙালিয়ানা। মূলত বিদেশী ফার্স্ট ফুড বা স্নাক্স গুলিকে ভারতীয় স্বাদে নিয়ে আসার অভিনব প্রয়াস করে চলেছে দোকানের বর্তমান পরিচালিকা বনি সরকার।
বনি সরকারের কথায়, তাঁদের এই দোকান দীর্ঘ ৩৭ বছরের। আগে দোকান চালনা করতেন তাঁর শ্বশুর মশাই। কিন্তু কয়েক বছর আগে শ্বশুর মশাইয়ের মৃত্যু হওয়ার পর দোকানের হাল ধরেছেন বাড়ির পুত্রবধূ বনি।
দোকানের হাল ধরার পরেই তিনি শুরু করেছেন অভিনব ফিউশন তেলেভাজা। সমস্ত রেসিপি তাঁর নিজের হাতে তৈরি। কোরিয়ান চিকেন চিজ রোল, কিংবা জাপানি ক্যান্ডি নয়তো বেগুনবাহারি, এই সব কিছুই নিজের হতে বানিয়ে চলেছেন বনি।
অভিনব এই ফিউশন চপ তৈরির পিছনে পরিশ্রম রয়েছে গোটা পরিবারের। প্রতিদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে যায় সন্ধ্যেবেলার দোকানের প্রস্তুতি। বাড়ির প্রত্যেক সদস্যই কাজে হাত লাগান।
আরও পড়ুন- সকালে খালি পেটে গ্যাসের ওষুধ নয়, রোজ খান পরিচিত এই জিনিস! ভুলে যাবেন অ্যাসিডিটি
প্রতিদিন বিকেল পাঁচটা থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত খোলা থাকে বাঙালিয়ানা। নতুন প্রজন্মের কাছে পুরাতন চপ-বেগুনি তেলেভাজার জায়গায় মন করছে অভিনব ফিউশন তেলেভাজার।
রাহী হালদার