নদীর দুই পাড়ে থাকা হোটেল ও লজ মালিকদের সতর্ক করেছে তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ। অভিযোগ, ওই সমস্ত লজ তাদের ব্যবহার করা জল দ্বারকা নদীতে ফেলছে। এর পাশাপাশি আশেপাশের লজে থেকেও নোংরা আবর্জনা রাতের অন্ধকারে নদীতে ফেলা হচ্ছে। এই নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের তরফ থেকে লজ মালিকদের সতর্ক করলেও কোনও সুরাহা মেলেনি।
advertisement
তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদ অফিসে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক হয় লজ মালিক সমিতির সদস্যদের। বৈঠকে ছিলেন রামপুরহাট মহকুমাশাসক অশ্বিন বি রাঠৌর, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা এলাকারা বিধায়ক আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা।
দ্বারকা নদী
আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তারাপীঠে দ্বারকা নদীর দূষণ রোধে জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে প্রশাসন সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। হোটেল বা লজের ব্যবহার করা জল যাতে দ্বারকা নদে না পড়ে, তার জন্য জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর থেকে তারাপীঠে জন পরিশোধন প্রকল্প করেছে।” তিনি আরও জানান, ওই প্লান্টে তারাপীঠের সমস্ত লজ-হোটেল-রেস্তরাঁর ব্যবহার করা জল পরিশ্রুত করা হবে। তবে, এই বিষয়ে সমস্ত লজ মালিকদের সচেতন করা হলেও বেশ কয়েকটি লজ সেই সতর্কতার তোয়াক্কা করে না বলে অভিযোগ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ওই সমস্ত হোটেল মালিকদের সরকারি নির্দেশ মেনে সাত দিনের মধ্যে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের সঙ্গে সহযোগিতা করার এবং দ্বারকা নদীতে নিজেদের ব্যবহার করা জল না ফেলার বিষয়ে বৈঠকে সতর্ক করে দিয়েছেন রামপুরহাট মহকুমা শাসক। সাত দিনের মধ্যে লজ মালিকেরা উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিধায়ক।






