ভুক্তভোগী ভক্তরা জানিয়েছেন, কারও ১২৪ গ্রামের সোনার চেন, কারও আবার ২.৫ লক্ষ টাকার মূল্যের গয়না, আবার কারও ৫২ হাজার, ৮০ হাজার, ১ লক্ষ টাকার সামগ্রী উধাও হয়ে গেছে। এমনকি ১২ লক্ষ টাকার সোনার চেন চুরি যাওয়ার অভিযোগও উঠে এসেছে। মা তারার এই তীর্থস্থানে শুধু বাঙালি নয়, ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকে আগত বহু ভক্ত এই ঘটনার শিকার হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, কয়েক হাজার পুলিশ কর্মী এই অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ গোটা চত্বর জুড়ে নিযুক্ত থাকলেও পুলিশের নাখের ডগা থেকে এমন দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে।
advertisement
আরও পড়ুন – Minor Girl Rescued: কিশোরীকে মেসেজের পর মেসেজ! চাকরি করবে নাকি, তারপর যা যা হল
একাধিক ভক্তের বক্তব্য “আমাদের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটল, অথচ পুলিশের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক।” অভিযোগকারীদের দাবি, শতাধিক দর্শনার্থীর সামগ্রী এইভাবে চুরি হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার জানিয়েছেন “আমরা ইতিমধ্যেই কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছি, কিছু চুরি যাওয়া সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে। তদন্ত চলছে।”
তবে এত বড় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার পরও কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ ভক্তরা। কৌশিকী অমাবস্যার মতন দিনে তারাপীঠে ছিল বিশাল পুলিশ মোতায়েন। মন্দির চত্বর ও আশপাশের এলাকায় ছিল প্রায় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোনের নজরদারি চলছিল লাগাতার। তবুও একসঙ্গে এতগুলি চুরির ঘটনা ঘটল কীভাবে সেই প্রশ্নে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন আগত মা তারার ভক্তরা। অনেক ভক্তের বক্তব্য “মা তারার কাছে পুজো দিতে এসেছিলাম, কিন্তু ফিরে যাচ্ছি চোখের জলে। ভক্তদের নিরাপত্তাই যদি না থাকে, তাহলে এত বড় আয়োজনের মানে কী?” এই ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
Souvik Roy