পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত দফতরের অধীনে থাকা সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্টে শুরু হয়েছে ১০০ শতাংশ খাঁটি সরষের তেল উৎপাদন করা। তমলুক প্রোজেক্টে বসেছে সরিষার তেল উৎপাদনের প্ল্যান্ট। সারা বছর সরিষার তেল উৎপাদনের জন্য গ্রামের মহিলাদের প্ল্যান্ট চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবেন ওইসব মহিলারা। সরকারি প্রশিক্ষণ পেয়ে প্ল্যান্টে সরিষার তেল উৎপাদন করছে মহিলারা। এই প্ল্যান্টের মাধ্যমে সারা বছর কর্মসংস্থান হচ্ছে মহিলাদের। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বিভিন্ন ব্লকের মহিলারা সিএডিসির উদ্যোগে নানান ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদের স্বনির্ভর হয়েছে। ফিরিয়েছে সংসারের হাল। এবার সারা বছর কর্মসংস্থানের পথ সরিষার তেল প্ল্যান্টে।
advertisement
আরও পড়ুন : ঝুঁকে ঝাঁটা দেওয়ার দিন এবার অতীত, বাজার কাঁপাচ্ছে নতুন মডেল! ধনতেরসের দিনেই নিয়ে আসুন ঘরে
এ বিষয়ে, সিএডিসি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর উত্তম কুমার লাহা জানান, বাজারে খাঁটি সরিষার তেল পাওয়া যায় না। বর্তমানে খাঁটি বা বিশুদ্ধ জিনিসের চাহিদা রয়েছে। বিশুদ্ধ সরিষার তেল কিনতে আগ্রহী অনেকেই। প্রথম বছর লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে এক হাজার লিটার সরিষার তেল উৎপন্ন করা। ইতিমধ্যেই ৫০০ লিটার উৎপাদন হয়েছে। বাঁকুড়া থেকে সরিষা এনে প্ল্যান্টে বিশুদ্ধ সরিষার তেল উৎপাদন করা হচ্ছে। কাজ করছেন স্ব-সহায়ক দলের মহিলারা। তাঁরা প্রতিদিনই কাজ পাচ্ছেন। ফলে তাদের একটা কর্মসংস্থান গড়ে উঠেছে এই বিশুদ্ধ সরিষার তেল উৎপাদনের মাধ্যমে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সিএডিসির উৎপন্ন করা বিশুদ্ধ সরিষার তেল বাজারে ১৯০ টাকা প্রতি লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদার সঙ্গে উৎপাদন বজায় রেখেছে সিএডিসি। কারণ কোনরকম প্রিজারভেটিভ থাকছে না এই সরিষার তেলে। সরিষার তেল উৎপাদন বাড়াতে, আগামী দিনে সিএডিসি তমলুক প্রজেক্ট জেলায় সরিষা চাষের পরিমাণ বাড়াতে চায়। সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্ট থেকে জানা যায়, এই সরিষার চাষও করবে মহিলারা। ফলে বাজারে বিশুদ্ধ সরিষার তেল যোগান দিতে সিএডিসি তমলুক প্রোজেক্ট নতুন করে মহিলাদের কর্মসংস্থানের পথ খুলে দিল।