TRENDING:

Tamluk: পাঠ্য-পুস্তকে জায়গা দেওয়া হোক তমলুক শহরের ইতিহাসকে! চর্চায় তাম্রলিপ্ত! জানুন

Last Updated:

Tamluk: তমলুকের ধুলোবালি, ইট কড়ি বর্গায় হাজার হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সময়ের নিয়মে তা বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর তমলুক। এই তমলুক শহর প্রাচীনকালে বিখ্যাত বন্দর নগরী তাম্রলিপ্ত নামে পরিচিত ছিল। কালের করালগ্রাসে সেসব এখন অতীত! এই তমলুকে এসেছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবক্তারা। তমলুক রাজবাড়ির পৃষ্ঠপোষকতায় বৌদ্ধ ভিক্ষুকরা বৌদ্ধ ধর্ম প্রচারে ব্রতী হন। সম্রাট অশোকের পুত্র ও কন্যা বৌদ্ধ ধর্মের প্রচারে সিংহল যাত্রার আগে আবার এই তাম্রলিপ্ত রাজবাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করেন ! প্রাচীনকালের বিখ্যাত তাম্রলিপ্তের ঐতিহ্য ইতিহাস বর্তমানে ভুলতে বসেছে মানুষ। সেই ঐতিহ্য এবার পাঠ্যপুস্তকে তুলে ধরার দাবি জানাল তমলুকবাসী।
advertisement

বর্তমান প্রজন্মের কাছে তমলুক শহরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পাঠ্য পুস্তকে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়িও শহরের প্রাচীন গৌরব মাখা ইতিহাস পড়ানোর দাবি আগেই জানিয়েছে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এবার সেই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করল তমলুকের বিশিষ্টজনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা। মহাভারতের সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, আবার বন্দর নগরীর তাম্রলিপ্ত শহরের সঙ্গে বৌধ বৌদ্ধ ধর্মের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তমলুক শহরের এই প্রাচীন ইতিহাস ক্রমশ ভুলতে বসেছে সাধারণ মানুষ থেকে বর্তমান প্রজন্ম। তাই তমলুকবাসীর দাবি এই ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে উঠে আসুক।

advertisement

“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”

থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, জাপান সহ ১১ টি দেশের প্রতিনিধিরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে তাম্রলিপ্ত-এর ইতিহাস স্কুল কলেজের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। এ বিষয়ে তমলুকের সাধারণ মানুষের একই দাবি। তমলুকের বিশিষ্ট সমাজবিদ যোগেশ সামন্ত জানিয়েছেন, ‘তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির তথা তমলুকের ইতিহাস গৌরব মাখা। মহাভারতের যুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সবেতেই তমলুকের ইতিহাস অত্যন্ত উজ্জ্বল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে তম্রলিপ্ত রাজবাড়ি তথা তমলুক শহর। ইতিহাস অবশ্যই স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তকে আসা উচিত।’

advertisement

তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য তথা তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘তাম্রলিপ্ত শহরে বহু ধর্মাবলম্বী মানুষজন এসেছিলেন। শহরের বহু অতীত কাহিনী রয়েছে। তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাম্রলিপ্তের ইতিহাস নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়। শহরের প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরতে আমাদের প্রয়াস জারি রয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি তমলুকের মানুষও দাবি তুলছে ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে উঠে আসুক।’ তমলুকের ধুলোবালি, ইট কড়ি বর্গায় হাজার হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সময়ের নিয়মে তা বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে।

advertisement

সৈকত শী

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Tamluk: পাঠ্য-পুস্তকে জায়গা দেওয়া হোক তমলুক শহরের ইতিহাসকে! চর্চায় তাম্রলিপ্ত! জানুন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল