বর্তমান প্রজন্মের কাছে তমলুক শহরের প্রাচীন ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে পাঠ্য পুস্তকে তাম্রলিপ্ত রাজবাড়িও শহরের প্রাচীন গৌরব মাখা ইতিহাস পড়ানোর দাবি আগেই জানিয়েছে নেপাল, ভুটান, শ্রীলঙ্কা সহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। এবার সেই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করল তমলুকের বিশিষ্টজনের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরা। মহাভারতের সংগ্রাম থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম, আবার বন্দর নগরীর তাম্রলিপ্ত শহরের সঙ্গে বৌধ বৌদ্ধ ধর্মের আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তমলুক শহরের এই প্রাচীন ইতিহাস ক্রমশ ভুলতে বসেছে সাধারণ মানুষ থেকে বর্তমান প্রজন্ম। তাই তমলুকবাসীর দাবি এই ইতিহাস পাঠ্য পুস্তকে উঠে আসুক।
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
থাইল্যান্ড, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, জাপান সহ ১১ টি দেশের প্রতিনিধিরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সেমিনারে তাম্রলিপ্ত-এর ইতিহাস স্কুল কলেজের অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানায়। এ বিষয়ে তমলুকের সাধারণ মানুষের একই দাবি। তমলুকের বিশিষ্ট সমাজবিদ যোগেশ সামন্ত জানিয়েছেন, ‘তাম্রলিপ্ত রাজবাড়ির তথা তমলুকের ইতিহাস গৌরব মাখা। মহাভারতের যুদ্ধ থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম সবেতেই তমলুকের ইতিহাস অত্যন্ত উজ্জ্বল। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মনীষীদের পদধূলিতে ধন্য হয়েছে তম্রলিপ্ত রাজবাড়ি তথা তমলুক শহর। ইতিহাস অবশ্যই স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তকে আসা উচিত।’
তাম্রলিপ্ত রাজ পরিবারের সদস্য তথা তমলুক পুরসভার চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, ‘তাম্রলিপ্ত শহরে বহু ধর্মাবলম্বী মানুষজন এসেছিলেন। শহরের বহু অতীত কাহিনী রয়েছে। তা বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তাম্রলিপ্তের ইতিহাস নিয়ে আন্তর্জাতিক মানের সেমিনারের ব্যবস্থা করা হয়। শহরের প্রাচীন ইতিহাস তুলে ধরতে আমাদের প্রয়াস জারি রয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি তমলুকের মানুষও দাবি তুলছে ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে উঠে আসুক।’ তমলুকের ধুলোবালি, ইট কড়ি বর্গায় হাজার হাজার বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। কিন্তু সময়ের নিয়মে তা বর্তমান প্রজন্ম ভুলতে বসেছে।
সৈকত শী