TRENDING:

জেলে বসে জমে উঠেছিল দোস্তি, ছাড়া পেয়ে দুজনেই হয়েছিল কেপমারির 'ওস্তাদ'! ফিরে যেতে হল পুরনো ঠিকানায়

Last Updated:

East Medinipur News : দু'টি ভিন্ন মামলায় ঠাঁই হয়েছিল সংশোধনাগারে। সেখানেই গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। ছাড়া পেয়ে দুজনে মিলে চালাচ্ছিল কেপমারি চক্র।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
তমলুক, সৈকত শী: দুটি ভিন্ন মামলায় ঠাঁই হয়েছিল সংশোধনাগারে। সেই সংশোধনাগারেই একে অপরের সঙ্গে পরিচয়। গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আর সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে ওই দুই বন্ধু হয়ে উঠেছিল পুলিশের মাথাব্যথার কারণ। অবশেষে পুলিশের জালে ওই দুই বন্ধু। আবারও ঠাঁই হল সংশোধনাগারে। ঠিক  যেন সিনেমার দৃশ্য। সিনেমায় আমরা দেখি সংশোধনাগারের ভিতরে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের নিবিড় বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে তারা অপরাধের জগত ছেড়ে সাধারণ জীবনে ফিরে যায়। আবার কেউ কেউ জোট বেঁধে একের পর এক অপরাধ করে যায়। সিনেমার এমন দৃশ্যই দেখা গেল তমলুক থানায়
তমলুক থানা
তমলুক থানা
advertisement

তমলুক থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বারুইপুর সংশোধনাগারে একদিকে পকসো মামলায় বন্দি এক, অন্যদিকে চুরির মামলায় সংশোধনাগারে থাকা থাকা আরেক বন্দির মধ্যেই শুরু হয় গভীর বন্ধুত্ব। সেই দু’জনের জেলজীবনের পরিচয় থেকে জোট বেঁধে পরবর্তীতে শুরু হয় কেপমারি। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পরই শুরু হয় অপরাধচক্রের সক্রিয়তা। শেষ কয়েক মাস ধরে তমলুক থানা এলাকায় ঘটে চলেছিল একের পর এক কেপমারির ঘটনা। পরপর প্রতারণা ও সোনা খোওয়ানর অভিযোগে জমা পড়তে থাকে থানায়। অবশেষে দীর্ঘ তদন্তের পর সেই দুষ্কৃতী চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হল তমলুক থানার পুলিশ।

advertisement

আরও পড়ুন : শীতে পাহাড়ে গিয়ে দ্বিগুণ মজা, ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু জেলা বইমেলা! দর্শনার্থীদের উপস্থিতি নিয়ে বড় টার্গেট

শনিবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানা এলাকা থেকে ধৃত বছরে ২১ এর সাদ্দাম আলি মণ্ডলকে গ্রেফতার করে তমলুক থানার পুলিশ। দক্ষিণ বারাসাতের বাসিন্দা। তাকে তমলুক আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারুইপুর সংশোধনাগারে চুরির মামলায় বন্দি রঙ্গলাল শেখের সঙ্গে পরিচয় হয় পকসো মামলায় বন্দি সাদ্দামের। জেলেই গড়ে ওঠে তাদের বন্ধুত্ব। সেই বন্ধুত্বই পরে রূপ নেয় কেপমারি চক্রে। মুক্তি পেতেই রঙ্গলালের নির্দেশে অপরাধচক্রে যোগ দেয় সাদ্দাম। এরপর পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সহ একাধিক এলাকায় তারা কেপমারির ঘটনা ঘটায়।

advertisement

View More

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
স্কুলের মিউজিয়ামে রয়েছে নানান দুষ্প্রাপ্য জিনিস! দেখলে থমকে দাঁড়াতেই হবে
আরও দেখুন

তমলুক থানার পুলিশ আগেই  বারুইপুর এলাকা থেকে রঙ্গলাল শেখকে গ্রেফতার করে। কুখ্যাত এই দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে একাধিক থানায় অভিযোগ রয়েছে। তাকে জেরা করেই সাদ্দামের নাম জানতে পারে পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তমলুক থানার অফিসার মুক্তার আলি ও গৌতম নন্দীর নেতৃত্বে রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে সাদ্দামকে। শুধুমাত্র তমলুক থানা এলাকায় অন্তত চারটি কেপমারির ঘটনায় যুক্ত এই চক্র। পাশাপাশি, এগরা, কোলাঘাট, মহিষাদল, নন্দকুমারসহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্যান্য থানাতেও সক্রিয় ছিল তারা। দীর্ঘদিন ধরে জেলা জুড়ে দাপট দেখিয়ে আসছিল এই চক্র।  রঙ্গলাল ও সাদ্দামের জেল থেকে বন্ধুত্ব তাদের আবার জেলেই ফিরিয়ে দিল।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
জেলে বসে জমে উঠেছিল দোস্তি, ছাড়া পেয়ে দুজনেই হয়েছিল কেপমারির 'ওস্তাদ'! ফিরে যেতে হল পুরনো ঠিকানায়
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল