গরম পড়া মাত্রই শুরু হয়ে যায় সুইমিং পুলের সিজন। প্রায় সাত মাস থাকে সাঁতার শেখার ব্যবস্থা। প্রতিটি ব্যাচ ৪০ মিনিট করে। ওয়ার্ম আপ করে জলে নামার পর অভিজ্ঞ ট্রেনাররা হাতে কলমে শিখিয়ে দেন সাঁতারের খুঁটিনাটি। এবার বাঁকুড়ায় গরম পড়তে কিছুটা দেরি হলেও গত সপ্তাহ থেকে জেলাজুড়ে দাবদহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা পেরিয়েছে চল্লিশের পারদ। আর তাই সুইমিং পুলমুখী উৎসাহীরা। তপ্ত গরমে সুইমিং পুলের আনন্দ নিতে পেরে খুশি কচিকাঁচা থেকে যুবক-যুবতী সকলেই।
advertisement
আরও পড়ুন: টিকে থাকতে ভরসা আধুনিকতা, অবাক ভোল বদল মৃৎশিল্পীর
প্রায় ২৫ বছর ধরে বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দাদের সাঁতার শেখাচ্ছে এই সুইমিং পুল এবং প্রশিক্ষকরা। সময়ের দিক দিয়ে দেখলেও বেশ ঐতিহ্যবাহী একটি সুইমিং পুল। প্রশিক্ষক সুমিত্র দাশগুপ্ত জানান, বাঁকুড়া জেলার একমাত্র আন্তর্জাতিক মানের সুইমিং পুল এটি। গোটা সুইমিং পুলকে গভীরতা অনুযায়ী ভাগ করা আছে। শিক্ষানবিশ থেকে তুখোড় সাঁতারু, সকলের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। বয়স অনুযায়ী তিন ভাগে বিভক্ত করা আছে ভর্তির প্রক্রিয়া। ৫-১০ বছরের বাচ্চাদের বছরে এককালীন ৩৪০০ টাকা, ১০-২০ বছরের জন্য ৩৮০০ টাকা বছরে এবং ২০ বছরের ঊর্ধ্বে যারা রয়েছেন তাদের ৪৩০০ টাকা খরচ পড়ে।
বাঁকুড়া শহরের প্রতাপবাগানে অবস্থিত এই সুইমিং পুলে সাঁতার শিখে রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সফল হয়েছেন একাধিক সাঁতারু। এমনকি নিয়ে এসেছেন গোল্ড মেডেল পর্যন্ত। এখানে নতুন সংযোজন হল, পায়ে ‘ফিন’ অর্থাৎ পাখনা লাগিয়ে ফিন সুইমিং।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী