এই মেলায় বরাবরই মিষ্টিতে বৈচিত্র্য থাকে। তবে এবার তাক লাগিয়ে ছাড়ছে ছানার তৈরি মিষ্টি। আকার দেখে চোখ ছানাবড়া হওয়ার জোগাড়।
এবার পাঁচশো, হাজার থেকে দু'হাজার টাকা দামেরও মিষ্টি রয়েছে মেলায়। মিষ্টি বিক্রেতারা জানালেন, দু'হাজার টাকার মিষ্টিও রয়েছে। রসে ডোবার পর সেই মিষ্টির ওজন হয় প্রায় সাত কেজি।
আরও পড়ুন- সিঙ্গাপুর থেকে কালনায় এসেছে টিয়াপাখির দল! সামনের মাসে হবে গণনা
advertisement
ছানা, চালের গুঁড়ো দিয়ে কড়া পাকের এই মিষ্টি তৈরিতে ঘণ্টা দেড়েক সময় লাগে। একা একটা গোটা মিষ্টি খাওয়া কার্যত অসম্ভব। তবে অনেকের সঙ্গে ভাগ করে খাওয়ার খদ্দেরের অভাব নেই।
শুধু মিষ্টি কিনতেই এই মেলায় ভিড় করছেন অনেকে। মেলায় রসনা তৃপ্ত করে বাড়ির জন্য মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। কুড়ি টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত মিষ্টিও রয়েছে। যেমন আকার, তেমন দর।
তবে চেখে দেখার ক্ষেত্রে পকেট পারমিট না করলেও অনেকেই দু হাজার টাকার মিষ্টি চোখে দেখছেন। মিষ্টি ব্যবসায়ীরা জানালেন, সাধারণ ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বড় মিষ্টির পাশাপাশি কুড়ি টাকা থেকে দুশো টাকা পর্যন্ত নানা আকারের মিষ্টি রয়েছে।
দেবদাস, পাবর্তীর প্রেমে অমর হয়ে রয়েছে কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের হাতিপোতা গ্রাম। গ্রামের বাসিন্দাদের বিশ্বাস, বাস্তব কাহিনী অবলম্বন করেই এই উপন্যাস লিখেছিলেন শরৎচন্দ্র।
আরও পড়ুন- দিনে অতিথির ভিড় কিন্তু মৃত্যুভয়ে রাতে নিঝুম বিয়েবাড়ি
নায়ক দেবদাসকে মনে রাখতে এখনও প্রতি বছর মেলা বসে গ্রামে। তবে সেই মেলার এখন পেল্লাই আকারের মিষ্টি বেশি আকর্ষণীয় হয়ে দেখা দিয়েছে।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, টানা ২৩ বছর ধরে দেবদাস মেলা হচ্ছে। দিন দিন জনপ্রিয়তা বাড়ছে এই মেলার। রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ছাড়াও বিভিন্ন স্টল।
তবে মেলায় বড় মিষ্টির জনপ্রিয়তা এখন ব্যাপক। জেলার বেশ কিছু নামী মিষ্টির কারিগরেরাও মেলায় আসেন। অনেকেই পেল্লাই সাইজের মিষ্টি কিনে বাড়ি ফিরছেন।