প্রত্যেক পিস মিষ্টির দাম পাঁচ টাকা। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথিতে শুধু এই বিশেষ মিষ্টান্ন বিক্রি করে বিকল্প আয়ের দিশা দেখতে পারেন আপনিও। দুর্গাপুরের প্রতিষ্ঠিত মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলিতে দেদার বিকোচ্ছে গোপালের প্রিয় তাল ফুলুরি ও তালপোয়া। জন্মাষ্টমী আসতেই প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলি ‘তাল স্পেশাল’ হয়ে ওঠায় ভিড় করছেন ক্রেতারা।
আরও পড়ুনঃ চাঁদা জুলুমবাজির প্রতিবাদের জের! যুবকের সঙ্গে যা হল…! বেলঘরিয়ার ঘটনায় জড়াল যুব তৃণমূল নেতার নাম
advertisement
মানুষের মধ্যে ব্যাপক চাহিদা থাকায় দেদার বিকোচ্ছে তালের বড়া, তাল ফুলুরি ও তালপোয়া। মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিকদের ও ক্রেতাদের দাবি, ব্যস্ততার যুগে তাল কিনে প্রক্রিয়াকরণ করে বড়া, ফুলুরি ও তালপোয়ার মতো মিষ্টি বানানোর সময় আর কারও নেই। তাই কিনে খেতেই পছন্দ করছেন মানুষ৷ তবে মা-ঠাকুমার হাতের তৈরি তাল ফুলুরির সেই স্বাদ হয়তো টাকা দিয়ে কিনেও মিলবে না।
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলের সিটিসেন্টার, বেনাচিতি ও চণ্ডিদাসের মতো একাধিক বাজারের প্রসিদ্ধ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারগুলিতে জন্মাষ্টমীর কয়েক দিন আগে থেকেই তালের বড়া বিক্রি শুরু হয়ে যায়। পাকা তালের মরসুমে প্রায় একমাস ধরে এই সব মিষ্টান্ন ভাণ্ডারে পাওয়া যায় তালের বড়া। আগেকার দিনে বাড়িতেই তালের বড়া তৈরি করা হত, কিন্তু এখন ব্যস্ততার কারণে অনেকেই মিষ্টির দোকান থেকে কিনে নেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
দুর্গাপুরের একটি প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানের মালিক দিলীপ মণ্ডল জানান, বর্তমানে ব্যস্ততার যুগে মানুষের হাতে তালের বড়া বানানোর সময় নেই। তাই খাদ্যপ্রেমী মানুষ তালের বড়া কিনতে দোকানে ভিড় জমায়। রোজ প্রায় দু-তিন হাজার তালের বড়া বিক্রি হয়। জন্মাষ্টমীর দিন ক্রেতাদের এতটাই চাহিদা থাকে তালের বড়া দিতে হিমশিম খেতে হয় আমাদের। সন্ধ্যের মধ্যেই সব শেষ হয়ে যায়। মানুষের চাহিদা অনুযায়ী তৈরি করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই জন্মাষ্টমীতে যারা ফুড স্টল করে বিকল্প আয়ের কথা ভাবছেন তাঁরা অনায়াসে তালের নানা পদ তৈরি করে আয়ের দিশা দেখতেই পারেন।