বসিরহাটের সীমান্ত থেকে সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে সারা বছর, বিশেষ করে শীতকালে নলেন গুড়ের তৈরি কাঁচাগোল্লা খেতে ভিড় জমান জেলা ও রাজ্য-সহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মানুষ। বসিরহাট, টাকি, বাদুড়িয়া, ভেবিয়া, শায়েস্তানগর ও মালতিপুর-সহ একাধিক এলাকায় এই কাঁচাগোল্লা মানুষের কাছে বহুল প্রচলিত ও অত্যন্ত প্রিয়।
advertisement
গরুর দুধ থেকে ছানা তৈরি করে বছরের অন্য সময় তাতে চিনি এবং শীতের সময় তাতে গুড় মিশিয়ে প্রস্তুত করা হয় এই বিখ্যাত কাঁচাগোল্লা। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, প্রায় ৪০০ বছর পুরনো বসিরহাটের এই কাঁচাগোল্লা তৈরির সংস্কৃতি। তাই এবার এই কাঁচাগোল্লাকে জি.আই ট্যাগ দেওয়ার আবেদন জানালেন বসিরহাটের মিষ্টি ব্যবসায়ীরা। বসিরহাট টাকি রোড চৌমাথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত এক বিজয়া সম্মিলনীতে বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত মিষ্টি ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে এই দাবি তোলেন।
মিষ্টি ব্যবসায়ী প্রদীপ ঘোষ ও চন্দন ঘোষরা বলেন, “বসিরহাটের কাঁচাগোল্লা যদি জিআই ট্যাগ পায় তাহলে তা আরও জনপ্রিয়তা লাভ করবে। সঙ্গে সঙ্গে তার গুণগত মান আরও বাড়বে। ফলে উপকৃত হবেন এই মিষ্টি তৈরির সঙ্গে যুক্ত গোয়ালা, কারিগর ও ব্যবসায়ীরাও।” আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিজ্ঞান ও কারিগরি দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলে জানান তারা। সব মিলিয়ে বসিরহাটের কাঁচাগোল্লায় এবার স্বাদ মুকুট বসতে চলেছে কি না তা সময়ই বলবে।
জুলফিকার মোল্লা