প্রসঙ্গত, কাঁথি পুরসভার দু’বারের পুরপ্রধান ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। পুরপ্রধান থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। একের পর এক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। কাঁথি পুরসভার শ্মশানে স্টল দুর্নীতি মামলা, সারদা লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি, ত্রিপল চুরি মামলা একাধিক মামলা দায়ের হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে চাঞ্চল্যকর মোড়, রাজ্য পুলিশের সমস্ত মামলার তথ্য নিল ইডি
পুলিশ সৌমেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার ও জিজ্ঞাসাবাদ চালানোর চেষ্টা করলেও, তা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। হাইকোর্টের রক্ষাকবচদের ভিত্তিতে বরাবর এড়িয়ে যান। প্রসঙ্গত, কাঁথি শ্মশানের জন্য বরাদ্দ জায়গায় জোর করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি মামলা চলছে।
আরও পড়ুন: কলে স্নান করছিল, পিছন থেকে গলার নলি কেটে দিল আত্মীয়! হাড়হিম ঘটনা টিটাগড়ে
সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে তিনটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। গত ১১ অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের একটি অন্তবর্তীকালীন নির্দেশে রক্ষাকবচ পান তিনি। তার মাঝে কাঁথি থানার পুলিশ তাঁকে ডেকে পাঠায়। এরপর ২৯ সেপ্টেম্বর সেই সমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সৌমেন্দু। সেই সময় বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা তাঁকে ফের রক্ষাকবচ দেন। দশমীর পর তাঁকে ফের তদন্তকারীরা ডাকতে পারবেন বলে আদালতের তরফে জানানো হয়। সেই সূত্রে দ্বাদশীতেই কাঁথি থানায় হাজিরা দিলেন সৌমেন্দু অধিকারী।